× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

নাঈম হত্যা মামলায় ১৬ বছর পর ৩ জনের যাবজ্জীবন

আবুল হাসনাত অপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

০৯ জুন ২০২৪, ২১:৪০ পিএম । আপডেটঃ ০৯ জুন ২০২৪, ২১:৪২ পিএম

রায় ঘোষণাকালে আসামি শুধু স্বপন কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন, ছবি : প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মো. নাঈম (১৭) হত্যার মামলার ১৬ বছর পর ৩ জন আসামিকে যাবজ্জীবন ও ৩ জন আসামীকে ৭ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করেছে।

রোববার (৯ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আব্দুল হান্নান এই রায় প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জেলা সদরের উত্তর পৈরতলার দাড়িয়াপুর গ্রামের কানু দাসের ছেলে কাজল দাস (৩৯), রঞ্জন দাসের ছেলে জুনু দাস (৩৮) ও অশ্বিনী দাসের ছেলে অভিরাম দাস (৩৬)।

এছাড়া, ঘোষিত রায়ে ৭ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে একই গ্রামের রঞ্জন দাসের আরেক ছেলে জুয়েল দাস (৩৯), হীরা লাল দাসের ছেলে স্বপন কুমার দাস (৪৪) ও হরী দাসের ছেলে অশ্বিনী দাস (৭৬) কে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রায় ঘোষণাকালে শুধু স্বপন কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন। বাকি সব আসামি পলাতক রয়েছেন।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের উপস্থাপিত মামলার নথি ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৬জুন দিবাগত রাতে নিখোঁজ হন জেলা শহরের উত্তর পৈরতলার শের আলী মিয়ার ছেলে মো. নাঈম। এই ঘটনার ২ দিন পর ১৮ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করে তার পরিবার। পরে ২৩ জুন উত্তর পৈরতলা-কালিসীমা সড়কের সেতুর নিচে স্থানীয়রা নাঈমের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ উদ্ধারের পর নাঈমের চাচা আলী মিয়া বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরপর চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা স্বপন দাস, উত্তম দাস ও নন্দন দাসকে গ্রেফতার করে। তারা আদালতে উপস্থিত হয়ে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে জানায়, ১৬ জুন রাতে নাঈমকে জুয়া খেলার আসর থেকে মেয়ে (পতিতা) আছে বলে জুয়েল ফুসলিয়ে স্থানীয় একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে কাজল দাস, জুনু দাস ও অভিরাম দাসসহ সবাই মিলে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে মো. নাঈমকে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ লুকিয়ে ফেলতে সহায়তা করেন জুয়েল দাস, স্বপন দাস ও অশ্বিনী দাস।

দীর্ঘ ৭ মাস তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী পুলিশ  আদালতে চার্জসীট দাখিল করে। কিন্তু আসামি পক্ষ নারাজি দিলে মামলাটি সিআইডিতে অধিকতর তদন্তের জন্যে স্থানাস্তর করা হয়। পরে তদন্ত শেষে সিআইডি ২০১০ সালের ২৯ জুলাই ৬জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে পুণরায় চার্জসীট  দাখিল করে। ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর আদালত চার্জ গঠণ করে। এরপর সাক্ষ্যপ্রমাণ, যুক্তিতর্কসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষে রোববার (৯ জুন) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালত এই মামলার রায় প্রদান করেন। আদালত এই মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন ও ৩ জনকে ৭ বছর করে কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি আজাদ রকিব আহাম্মদ তুরান এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। 

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.