ভোলার চরফ্যাসনে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুর হাট। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বেচাকেনা। হাটগুলোতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা আসছেন। ক্রেতা বিক্রেতায় মুখর চরফ্যাসন উপজেলার প্রতিটি পশুর হাট- বাজার।
চরফ্যাসন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ছোট- বড় বেশ কিছু খামারে পালন করা হয় দেশি-বিদেশি জাতের গরু। তবে এখানকার অধিকাংশ গরু, ছাগল স্থানীয় কৃষকেরা লালন পালন করেন। এসব গরু, ছাগল প্রাকৃতিক পরিবেশে খরকুটো ও লতাপাতা ঘাস খেয়ে বেড়ে উঠে।
ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় এ বছর কোরবানি পশুর চাহিদা ৮৫ হাজারের মতো। আমাদের উৎপাদন ৯২ হাজার ৪৫০ এর মতো। । চরফ্যাসন উপজেলায় ২১ টি ইউনিয়ন ৪ টি থানায় ২৭টি হাট রয়েছে।
চরফ্যাসন পৌরসভার গরুর হাটে গরু কিনতে আসা মো. আকতার হোসেন জানান, বাজারে গরু বিক্রেতার চেয়ে ব্যবসায়ী আর দালালের উপস্থিতি অনেক বেশি। এ কারণে গরুর দাম অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে। যে গরু ১ লাখ টাকায় বিক্রি হবে তার দাম চাওয়া হচ্ছে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা।
জামাল নামে স্থানীয় একজন জানান, তিনি হাটে ৮টি গরু নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে তিনটি গরু বিক্রি করেছেন। কোরবানির এখনো আর কিছু দিন বাকি থাকায় ক্রেতারা দরকষাকষি করছেন। সামনের হাটে বিক্রির পরিমাণ বাড়বে বলে জানান তিনি।
তবে পশু বিক্রেতাদের অভিযোগ, এ অঞ্চলে তিন চারটি গ্রুপকে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা দেওয়ার কারণে প্রতিটি গরুতে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ পড়ে যায়। ফলে গরুর ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হন গরুর মালিক।
কোরবানি হাটকে কেন্দ্র করে উপজেলার হাটবাজারগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। হাটগুলোতে স্বাভাবিক পোশাকে টহল দিচ্ছে পুলিশ। জাল টাকা শনাক্ত করতে ব্যাংক কর্মকর্তারা কাজ করছে পাশাপাশি রোগাক্রান্ত পশু শনাক্ত করতে হাটে রয়েছে পশু চিকিৎসক।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রহমতউল্লাহ জানান, এ উপজলায় পর্যাপ্ত কোরবানির জন্য দেশিও গরু রয়েছে। তা উপজেলার কোরবানি চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত পশু দেশের অন্যান্য জেলায় পাঠানো হয়।
চরফ্যাসন সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদি হাসান বলেন, গরুর হাট কেন্দ্রিক গোয়েন্দা নজরদারিসহ সার্বক্ষণিক পুলিশের টহল রয়েছে। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। হাটে পশু বিক্রি করে বিক্রেতারা যেন অর্থ নিয়ে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারে পুলিশ সে বিষয়ে সজাগ রয়েছে।