× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও ঘটনাবহুল ২০২৪ সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ক্রাইম সিন দেখে ঈশ্বরদীতে শিশু হত্যা, ট্রাংকে মরদেহের টুকরো

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

২২ জুন ২০২৪, ২২:৫৬ পিএম

ভারতের ক্রাইম পেট্রোলে ক্রাইমসিন দেখে ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকান্ডের মত পাবনার ঈশ্বরদীতে তপু হোসেন (১৪) নামে এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। নিখোঁজে ৭ দিন পর কোরবানির মাংসের মত টুকরো টুকরো করে পলিথিন ব্যাগে ভরে ট্রাংকে রাখা মরদেহের গলিত অংশের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই ব্যাপারে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে করা হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত ট্যাংক ভর্তি মরদেহের টুকরো ঘটনাস্থল ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের পেছনে মশুরিয়াপাড়াস্থ অরণ্য ছাত্রাবাসের তিন তলার ৩০৫ নং কক্ষে পড়েছিল।

নিহত তপু হোসেন সরকারী কলেজ সংলগ্ন খান মঞ্জিল সংলগ্ন এলাকার রিক্সা চালক আবুল কাশেমের ছেলে।

নিহত তপুর বড় ভাই অপু বলেন, চলতি মাসের (১৫ জুন) সকাল ১১ টার দিক থেকে তার ছোটভাই তপুর ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ওইদিন রাত ১০ টার দিকে তপুর ফোন নম্বর থেকে জানানো হয় আপনার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। বিকাশে ৩০ হাজার টাকা না দিলে হত্যা করা হবে। তখন খরচসহ ৭ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তপুর ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এর পরের দিন থানায় গিয়ে আমার মা (মজিরণ বেগম) বাদী হয়ে নিখোঁজের জিডি করেন। এরপরই পুলিশ মরদেহের খোঁজ পান।

অপু আরও বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বন্ধুদের দিয়ে বাড়ির পাশের অরণ্য ছাত্রাবাসের তিন তলার ওই কক্ষে নিয়ে হত্যা করে। এরপর মরদেহ টুকরো টুকরো করে ট্রাংকে ভরে রেখে হত্যাকারীরা পালিয়ে যায়।

অরণ্য ছাত্রাবাসের ৩০৪ নং কক্ষের থাকা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ৩য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী তানভির আহমাদ বলেন, ঈদের ছুটিতে আমি গত ১১ জুন বাড়িতে চলে যায়। শনিবার দুপুরের দিকে ছাত্রাবাসের নিজ কক্ষে ফিরি। দরজার কাছে আসলে ভিতর থেকে দূর্গন্ধ বের হয়। পাশের ৩০৫ নং কক্ষের ভেতর থেকে দরজা দিয়ে বের হওয়া রক্ত দেখতে পেয়ে মেসের আয়ার মাধ্যমে মালিকদের জানানো হয়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কক্ষের তালা খুলে ট্রাংকের ভিতরে রাখা মরদেহের টুকরো দেখতে পান। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত তপু একই এলাকার কয়েকজন মাদকাসক্ত উঠতি বয়সী ছেলেদের সঙ্গে চলাফেরা করতো। স্থানীয় জৈনক হাসুর দোকানে বসে সব সময় আড্ডা দিত। সম্প্রতি তপুও মাদক সেবন শুরু করেছিল। ঈদের আগে মাদক সেবনকে কেন্দ্র করেই হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, নিহত তপুর মা বাদী হয়ে থানায় গত ১৬ জুন একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এই জিডির সুত্র ধরেই তদন্ত করে সন্দেহজনক তিনজনকে আটক করা হয়।

আটককৃতদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, আটককৃতরাসহ নিহত তপুর মাদক সেবনকারী ছিল। মাদক সেবনকে কেন্দ্র করেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। তারা ক্রাইম পেট্রোলে ক্রাইম সিন দেখে ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল  আজীম আনার হত্যাকান্ডের মত লাশ গুমের পরিকল্পনা মতে তারাও তপুকে হত্যা করে টুকরো টুকরো করে ট্রাংকে রেখেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। আটককৃতদের দেওয়া তথ্য মতে আরও একজনকে আটকের চেষ্টায় অভিযান চালানো হচ্ছে। মরদেহের শনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাবনা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি পাওয়া) আকবর আলী মুন্সি বলেন, হত্যার রহুস্য উদঘাটনের লক্ষে সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অহেতুক যেন কাউকে হয়রানি না করা হয় সেদিকে লক্ষ রাখার জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত হত্যাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.