জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের কুতুবেরচর গ্রাম সহ কয়েকটি নদী এলাকার গ্রামগুলো উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ- নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি মাদরাসা মসজিদসহ প্রায় ৪০টি বসতভিটাসহ ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বাঙ্গালপাড়া ও কুতুবেরচর গ্রামে জিঞ্জিরাম নদীর তীরবর্তী প্রায় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি রয়েছে এর মধ্যে মো.উমর মিয়া পিতা মৃতঃ ফজল হক, মো.মানিক আলী পিতা মৃতঃ ফজল হক, মো. হুমায়ুন পিতা মৃতঃ ফজল হক, মোছা.হুনুফা বেওয়া স্বামী মৃতঃ ফজল হক, পানফুল স্বামী মৃতঃ সুরুজ, সমজ উদ্দীন পিতা মৃতঃ সুরুজ , খুশু পিতা আল-আমিন, ছয়ফল পিতা মৃতঃ নসিবুল্লে, সহিদ মিয়ে পিতা মৃত নসিবুল্লে, আজিদ পিতা মৃতঃ রশিদ, মাজিদ পিতা মৃতঃ রশিদ, রাজু মিয়া পিতা মৃতঃ রশিদ, ফজলু পিতা মৃতঃ আঃ রশিদ, ফাতেমা স্বামী মৃতঃ আঃ রশিদ, মনির পিতা আজিদ, নুর আলম পিতা মৃতঃ আঃ কাদের, নুর ইসলাম পিতা মৃতঃ আঃ কাদের, নুরু পিতা মৃতঃ আঃ কাদের, আলি হায়দার পিতা আঃ হামিদ, শফিকুল পিতা মোঃ উমর মিয়ার বাড়ি সহ কুতুবেরচর জামে মসজিদ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে, এসব বসত বাড়ির মানুষ এখন অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছে।
এছাড়া, আয়লান হক মৃতঃ নিজামুদ্দিন ,আবু তালেব মৃতঃ জহর আলী, শফিকুল পিতা মৃতঃ আঃ হক, নেহাল মিয়া পিতা তাহের আলী, নুরুল ইসলাম পিতা মৃতঃ সিরাজ আলীর বাড়ি সহ প্রায় ৪০ টি ঘর ও কুতুবেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
নদীগর্ভে ঘর-বাড়ি বিলীন হওয়া উমর মিয়া বলেন আমার এতটুকু জমিই ছিল যা ঘর তুলে কোনভাবে জীবন যাপন করতাম আজ শেষ সম্বল জমি টুকুও নদী ভেঙ্গে নিয়ে গেল আমার আর থাকার মত কোন জায়গা রইল না,
এছাড়াও বিদ্যুতিক খুটি ঢলে পরাই ওই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার শংকা রয়েছে, এ ব্যপারে বকশীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম জয় প্রকাশ নন্দিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এসব খুটি মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখার আশ্বাস দেন।
বকশীগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অহনা জিন্নাত বলেন নদী ভাঙ্গনের খবর পেয়েছি এমনকি নদী ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগের ব্যবস্থা করা হয়েছে এমনকি নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সরকারি ভাবে ত্রাণের ব্যবস্থা সহ সকল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।