কিশোরগঞ্জে স্ত্রীর করা পর্নোগ্রাফি মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুল হোসেন হীরাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৩ জুন) দিবাগত রাতে ময়মনসিংহের গাঙ্গিনারপাড় এলাকা থেকে তাকে আটকের পর কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় আনা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা।
তিনি জানান, হীরার দ্বিতীয় স্ত্রী মিতু আক্তারের দায়ের করা পর্নোগ্রাফি মামলায় তাকে আটক করা হয়। ওই মামলায় হীরাসহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন এবং তার বড় ভাই জেলা ছাত্রলীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেন মোল্লা বাবু।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, জেলা শহরের সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী মিতু আক্তাকে তার প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন রেখে জোরপূর্বক বিয়ে করে হীরা। হীরা তার সঙ্গে গোপন মুহুর্তের ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করে মিতুকে ভয় দেখিয়ে প্রায়ই সময় মোট অংকের টাকা আদায় করত। পরে মিতু এসব বিষয়ে তার মামা শ্বশুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন ও তার বড় ভাই জেলা ছাত্রলীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেন মোল্লা বাবুর কাছে অভিযোগ করলে তারা উল্টো মিতুকে হুমকি দেয়। তাকে কিশোরগঞ্জ থাকতে দিবে না। পরেই ভুক্তভোগী কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমানের আদালতে একটি পর্নোগ্রাফি মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ভারতীয় অবৈধ চিনি চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, রোববার হীরার দ্বিতীয় স্ত্রী কলেজ পড়ুয়া স্ত্রী কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি পর্নোগ্রাফি মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি হীরাকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।