ভোলার চরফ্যাসনে ডোবায় পড়া টমটমের নিচে চাপা পড়ে আবু ছায়েদ(৯) নামের এক পথচারী শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার উপজেলার শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নে চৌমুহনী বাজার সংলগ্ন সড়কে এদূর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. বাখের সরদারের ছেলে।
শিশুর বাবা বাখের সরদার সংবাদ সারাবেলাকে জানান , সকাল থেকেই শিশু আবু ছায়েদ বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। শিশুটির স্বজনরা চারদিকে সন্ধান চেয়ে মাইক প্রচার করেন। বিকালে শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নে চৌমুহনী বাজার সংলগ্ন সড়কের পাশে শিশুর জুতা পড়ে থাকতে দেখে স্বজনদের সন্দেহ হয়। পরে ওই পানি ভর্তি ডোবায় তল্লাশী চালিয়ে শিশুর মরদেহ দেখতে পান। তার দাবী টমটম চালক রুহুল আমিন শিশু ছায়েদকে চাপা দিয়ে হত্যা করে ডোবায় ফেলে পালিয়ে গেছেন।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ১১ টায় শশীভূষণ থানার রসুলপুর ইউনিয়নে চৌমুহনী বাজার সংলগ্ন সড়কের পাশে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একটি টমটম ডোবায় পড়ে যায়। তৎক্ষনিক টমটম চালক রুহুল আমিন তার দূঘর্টনা কবলিত টমটম রেখে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান এবং ওই দিন ১১টার দিকে তার স্বজনরা ডোবা থেকে টমটমটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। পরে বিকালে ওই স্থানের ডোবায় একটি শিশুর মরদেহ দেখে তারা থানা পুলিশকে খবর দেন । শশীভূষণ থানার পুলিশ নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেন। স্থানীয়দের ধারণা নিহত শিশু পথচারী ছিলেন। এসময় নিয়ন্ত্রণ হারানো টমটমটি সড়কের পাশে থাকা শিশুটিকেসহ পানি ভর্তি ডোবায় পরে যায়। এতেই টমটমের নিচে চাপা পরেই শিশুটি মৃত্যু হতে পারে।
শশীভূষণ থানার ওসি মু. এনামুল হক সংবাদ সারাবেলাকে জানান, স্থানীয়দের খবরে ডোবা থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।