চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ডাক্তার ও জনবল সংকটে দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৭৫/৮০ জন রোগী ভর্তি থাকে।
এদিকে বর্হিবিভাগে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে চার শত থেকে পাঁচশত রোগী সেবা নিতে আসেন। তাই বিপুল সংখ্যক রোগী সামাল দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অপরদিকে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ৩/৪ জন ডাক্তার পোষ্টিং রয়েছে তাদেরকেও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই ডিউটি করতে হচ্ছে। ফলে উপস্বাস্থ্য ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
সরেজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা গেছে, চিকিৎসক ও জনবলের শূন্য পদ সংখ্যা ৮৯টি। শূন্য পদগুলো হচ্ছে, জুনিয়র কনসালটেন্ট ১ জন, আবাশিক মেডিকেল অফিসার ১, মেডিকেল অফিসার ৩, সহকারী সার্জন ৩, সিনিয়র স্টাফ নার্স ১, মিডওয়াইফারী ২, মিডওয়াইফারী ৪, পরিসংখ্যানবিদ ১, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপঃ ১, সহকারী সেবক ১, সেনেটারী ইন্সপেক্টর ১, স্যাকমো ২, স্যাকমো (ইউএইচ ও এফ ডব্লিউসি) ৭, ফার্মাসিষ্ট ৪, মেডিক্যাল টেক: (রেডিও) ১,স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৩, সহকারী স্বাস্থ্যপরিদর্শক ৮, স্বাস্থ্য সহকারী ৩৭, সিএইচসিপি ৫, অফিস সহায়ক ০২, পরিচছন্ন কর্মী ১ জন। এছাড়াও এটাস্টম্যান্ট এ ১ জন গাইনী কনসালটেন্ট, ফাউন্ডেশন ট্রেনিংএ ১ জন মেডিক্যাল অফিসার ও গর্ভকালিন অসুস্থ্যতা জনিত ছুটিতে ২ জন ডাক্তারের অনুপস্থিতিও সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষ ডাক্তার মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান (জুয়েল) জানান ,উর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে চিকিৎসক ও জনবল সংকটের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
তাছাড়া তিনি আরোও জানান, চিকিৎসক ও জনবল সংকটে স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবায় কিছুটা অসুবিধা হলেও আসা করছি অচিরেই এ সমস্যা নিরসন হবে।