গলায় হাসুয়া ধরে পান ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই করায় যুবলীগ নেতা ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার গোকুলনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার রাতেই উপজেলার সাঁড়ার ইলশামারি স্কুলপাড়ার ইসমাইল হোসেনের ছেলে ঈশ্বরদী বাজারের পান ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল গাফ্ফার বাদী হয়ে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম তোতা (৫০) ও তার ছোট ভাই মোঃ নিহারুলকে আসামী কওে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তোতা ও নিহারুল উপজেলার গোকুলনগর এলাকার মৃত এসকেন খাঁ এর ছেলে।
থানায় অভিযোগ দায়েরকারী পান ব্যবসায়ী আব্দুল গাফফার জানান, ঘটনার রাতে ঈশ্বরদী বাজারের পানের দোকান বন্ধ করে পান বিক্রয়ের ২০ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে নিজ বাড়ি ইলশামারিতে যাচ্ছিলেন। পথেমধ্যে গোকুলনগরস্থ রাজু সিনেমা হলের সামনে নিহারুল, তার ভাই যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম তোতাসহ অজ্ঞাতনামা আর ২-৩জন তার পথ আটকিয়ে গলায় ধারালো হাসুয়া ধরে কিল, ঘুষি মেরে পকেটে থাকা টাকা ও হাতের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
স্থানীয়রা জানান, নিহারুল তার ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম তোতার প্রশ্রয়ে এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ নানা ধরণের অপরাধমুলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তোতার ভয়ে কেউ মুখতে সাহস পাচ্ছে না।
ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত সাঁড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম তোতা জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনায় ষড়যন্ত্রমুলকভাবে জড়ানো হয়েছে। তার ভাই নিহারুল মাদকাসক্ত। সে প্রায়ই ছিনতাইসহ নানা ধরণের ঘটনা ঘটায়। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদারকে নিহারুলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।
সাঁড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সজন সরদার জানান, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম তোতা বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা ছিনতাইয়ের অভিযোগটি ভিত্তিহীন।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় ভুক্তভোগি আব্দুল গাফফার বাদী হয়ে শফিকুল ইসলাম তোতা ও তার ভাই নিহারুলসহ অজ্ঞাতনামা আসামী উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে পরবর্তি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।