ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার প্রায় ৩০টি গ্রাম পানিবন্দী হয়ে রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের জানায়, এসকল পানিবন্দি এলাকায় ২১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, ‘টানা ভারী বৃষ্টিতে মেরুং ইউনিয়নে প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে করে কয়েকহাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রান্না করা খাবার ও প্রয়োজনীয় শুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
এদিকে ৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে মানুষজন পানিবন্দি রয়েছে দাবি করে কবাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নলেজ চাকমা জ্ঞান বলেন, ‘তিনটি আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষজন আশ্রয় নিয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।উপজেলা প্রশাসন এ সংক্রান্ত নিদ্দেশনা দিয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, গেল ২৪ ঘন্টায় খাগড়াছড়ি জেলায় ১৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। যা সামনে আরো বাড়তে পারে।
এদিকে টানা তিনদিনের বৃষ্ঠি ও পাহাড়ি ঢলে বাঘাইহাট বাজার প্লাবিত হওয়ায় সাজেকে আটকা পড়েছে প্রায় ৭০০ পর্যটক। এছাড়াও মেরুং এলাকায় সেতু ডুবে ও সড়কে জলাবন্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় উপজেলার সাথে খাগড়াছড়ি ও সারাদেশের যানচলাচল বলে জানান দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, উপজেলায় ২১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। উপজেলার সাথে পার্শবর্তি দুইটি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। জলাবন্ধতা কমে গেলে সড়কে যান চলাচল সচল হবে।’