ছবি: প্রতিনিধি
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্থাপনা, অপরিচ্ছন্নতা এবং খাবারের মান দিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ অবস্থায় গত শনিবার স্থানীয় সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজলের নেতৃত্বে দিনব্যাপী ভিডিও কলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগীদের জন্য নিম্নমানের খাবার পরিবেশন দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। পরে ভিডিও কলে হাসপাতালের অবস্থা দেখেন মন্ত্রী। অপরিচ্ছন্ন অবস্থা দেখে ক্ষুদ্ধ মন্ত্রী প্রশ্ন করেন, এই হাসপাতালে মানুষের চিকিৎসা হয় নাকি ময়লার?
তিনি পরিচ্ছন্নতার কাজে থাকা জনপ্রতিনিধিসহ ছাত্র-যুবককের ধন্যবাদ জানিয়ে এমন কাজ প্রতিনিয়ত পরিচালনা করার নির্দেশ দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, পৌর কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক, আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানিকারক এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্ডপাদক শফিকুল ইসলামসহ ছাত্র যুবকদের একটি দল পাঁচ ঘন্টা ব্যাপী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেন। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশমুখ থেকে কয়েক টন আবর্জনা তারা অপসারণ করেন। তাদের এ কার্যক্রম চলে বিকেল পৌণে চারটা পর্যন্ত। দলটিতে অন্তত ৭০ জন পরিচ্ছন্নতা কাজে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, আইনমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ গ্রহণ করি। আমরা হাসপাতালে অবস্থান কালে দেখতে পাই, বেলা তিনটা পর্যন্ত রোগীদের দুপুরের খাবার দেয়া হয়নি। ওই সময় খাবার তৈরির ঘরে গিয়ে সেটি তালাবদ্ধ দেখতে পাই। পরে দায়িত্বরত বাবুর্চির ঘরে গিয়ে দেখতে পাই সেখানে ১ কেজির কম চালের ভাত এবং পাঙ্গাস মাছের ছোট ছোট কয়েকটি পিস রোগীদের জন্য রাখা আছে। যা খাবার অযোগ্য। যদিও আমার দেখামতে অন্তত ৪০ জনের মতো রোগী তখনো হাসপাতালে ভর্তি ছিল। বিষয়টি তাৎক্ষণিক হাসপাতালের তত্বাবধায়ককে অবহিত করি।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. আসাদুজ্জামান ভূইয়া বেলা তিনটা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রোগীরা খাবার না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে অবহিত করবো। টেন্ডার জটিলতায় আমরা অব্যাবহৃত জিনিসগুলো প্রবেশমুখ থেকে সরাতে পারিনি। মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশ পেয়ে ইতিমধ্যে আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জনকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানা গেছে, উল্লেখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে প্রক্রিয়াধীন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh