ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অব্যবস্থাপনার বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেনের নির্দেশে সিভিল সার্জন কর্তৃক গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত দল তাদের তদন্ত কাজ শেষ করেছে।
গত রবিবার বিকালে তদন্তকাজ শুরু হয়। অব্যবস্থাপনায় তদন্তের পাশাপাশি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি চিকিৎসাধীন রোগীদের নিম্নমানের খাবার পরিবেশন, পরিমাণে খাবার কম দেয়া এবং দেরিতে খাবার দেয়ার বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অন্তরা এন্টারপ্রাইজকে কারণ দর্শাতে (শোকজ) বলা হয়েছে।
জানা যায়, অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশে গত শনিবার দিন পৌরসভা মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল জনপ্রতিনিধিসহ অনুসারীদের নিয়ে পাঁচ ঘন্টাব্যাপী আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (হাসপাতালে) পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি জানান, সেদিন বিকাল ৩টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ভর্তি রোগীদের খাবার পরিবেশন করা হয়নি। এ সময় মেয়র রান্নাঘরে গিয়ে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের বিষয়টি দেখতে পান। তার নেতৃত্বে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রবেশপথে জমিয়ে রাখা কয়েক টন আবর্জনা সরানো হয়। আইনমন্ত্রীকে ভিডিওকলে হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা দেখান মেয়র। আবর্জনার স্তূপ দেখে মন্ত্রী প্রশ্ন করেন, এই হাসপাতালে মানুষের চিকিৎসা হয় নাকি ময়লার? বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রীও নজরে এনেছেন বলে জানান আইনমন্ত্রী।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সিভিল সার্জন বেলায়েত হোসেন ওই দিন বিকেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছে রাত ২টা পর্যন্ত অবস্থান করে সব বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন। তার নির্দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এবং কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং সিভিল সার্জন অফিসের একজন মেডিক্যাল অফিসারকে দিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, কেন ওই দিন বিকাল ৩টা পর্যন্ত রোগীদের খাবার দেয়া হয়নি এবং নিম্নমানের ও কম পরিমাণ খাবার পরিবেশ করা হয়েছে তা জানাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অন্তরা এন্টারপ্রাইজকে কারণ দর্শাতে (শোকজ) বলা হয়েছে।