কর্মবিরতি পালনকালে ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নারী কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, এখানে আমরা চাকুরী করি কিন্তুু আমাদের নির্দিষ্ট কোন কর্ম সময় নির্ধারন করা নেই। আমরা সকালে অফিসে আসি রাত ১১ টা পর্যন্ত কাজ করতে হয় এতে আমরা আমাদের সংসারে সময় দিতে পারি না। যার ফলে কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময় দেওয়ায় আমাদের সংসারে অশান্তি হচ্ছে । এ থেকে আমরা মুক্তি চাই।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ে সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়। এতে অংশ নেন অফিসের দুই শতাধিক কর্মকর্ত-কর্মচারী। বিভিন্ন রকমের শ্লেগানে মুখরিত করা হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, ডিজিএম প্রকৌ. সুপ্রিয়া সমদ্দার, এজিএম (ওএন্ডএম) প্রকৌ. মো: খালিদুজ্জামান, এজিএম (ওএন্ডএম) মো: সাইদুর রহমান, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো: আশিক হোসেন খান, লাইন টেকনিশিয়ান মো: জসিম উদ্দিন খান, লাইনম্যান মো: সজিবুর রহমান, মিটার রিডার মো: নোমান হোসেন
আন্দোলনকারীরা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা- কর্মচারীদের পদমর্যাদা, ৬ মাস পিছিয়ে পে-স্কেল ও ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, এপিএ বোনাস সম হারে না দেওয়া, লাইনম্যানদের নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও কাজের জন্য প্রয়োজনীয় লাইনম্যান ও বিলিং সহকারী পদায়ন না করা, যথাসময়ে পদন্নোতি না করা, মাঠ পর্যায়ে কর্মচারীদের চুক্তি ভিত্তিক চাকুরি নিয়মিত না করা সহ বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিভিন্ন অনিয়মের শিকার হচ্ছে সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। দীর্ঘদিন ধরে চলা এসব শোষন, নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ করে স্মার্ট ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গঠনের লক্ষ্যে অভিন্ন চাকুরী বিধি ও সকল চুক্তিভিত্তিক, অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকুরি নিয়মিতকরনের দাবি জানান মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। দাবি আদায় না হলে আন্দোলন চলমান রাখার ঘোষনা দেওয়া হয়।