মাদারীপুরে জোরপূর্বক সম্পত্তি ভোগ দখলের চেষ্টা ও উৎখাত করার অভিযোগ উঠেছে আপন ভাসুর, ননদ ও তাঁর ৩ ছেলের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের পখিরা এলাকায় এই ঘটনায় হামলার স্বীকার হন ভুক্তভোগী পারুল আক্তার। এ বিষয়ে সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন পারুল আক্তার।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পখিরা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ নুরুল হক বেপারী গত জানুয়ারী মাসে মারা যাওয়ার পর তার পরিবার গ্রামে চলে আসেন। গ্রামে বসবাস করার উদ্দেশ্যে তাঁর স্ত্রী পারুল আক্তার (৪২) বসতঘর নির্মাণ করেন এবং ঐ জায়গা এবং বেশকিছু গাছের চারা লাগান। অতিরিক্ত জায়গায় গাছ লাগানোর কারণে তাঁর আপন ননদ লুজি বেগম (55) গাছ গুলো উঠিয়ে ফেলে। এ নিয়ে নিজে মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এতে শুক্রবার সকালে তাঁর ভাসুর আব্দুল হক বেপারী, ননদ, তার ৩ ছেলে এবং প্রতিবেশী আলিম মুন্সী (60) ও মোয়াজ্জেম মুন্সী (35) মিলে পারুল বেগম ও তার মেয়ের উপর হামলার চালায়। এতে তাঁর মেয়ের হাত ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও তাঁর ছেলেসহ তাকে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
পারুল আক্তার বলেন, আমার স্বামী নাই। আমি গরীব মানুষ। তারা আমার উপর অন্যায়ভাবে অত্যাচার করেছে। আমাকে এখান থেকে উৎখাত করতে চায়। আমার ননদ ভাসুর মিলে আমাকে কু প্রস্তাব দেয়। আমি সেটা না মানায়। আমার অত্যাচার জুলুম করছে। আমি গাছ লাগিয়েছি। সেই গাছগুলো আমার ননদ উঠিয়ে তার বাড়িতে লাগিছে। ভাসুর, ননদ ও তার ছেলে ও প্রতিবেশীরা মিলে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমার বড় মেয়ের হাত ভেঙ্গে ফেলছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
স্থানীয় মেম্বার দবির মালোত জানান, তাঁর ওই খানে ১০ শতাংশ জায়গা তারাই ভাগ বাটোয়ারা করে দিয়েছে। বর্তমানে তাদের মধ্যে কি ঝামেলা আছে আমি তা জানি না।
খালাতো ভাই মনির মৃধা বলেন, এর সাথে দীর্ঘদিন যাবত অন্যায়ভাবে অত্যাচার করছে এবং তাকে উৎখাত করার চেষ্টা করছে। আমি চাই সবাইকে নিয়ে এর সুষ্ঠু সমাধান হওয়া উচিত।
অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল হক বেপারী বলেন, আমার বোন রাগ করে গাছ উঠিয়ে ফেলছে। সে জায়গা পাবে আড়াই করা। বেশি জায়গায় গাছ লাগিয়ে ফেলছে। সে গাছ লাগিয়েছে ৬/৭ কড়া। আমি বলেছি আসো জায়গা জমি ভাগ করে দেই। তারপর তুমি গাছ লাগাও।
এবিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দিন বলেন, আমরা এধরণের একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।