বন্ধ ছাতা খুলতেই বেরিয়ে এল শতশত তেলাপোকা। রোগীর সজ্জার নিচে ছোটাছুটি করছে তেলাপোকার দল। শয্যা তো বটেই রোগীর জামা-কাপড়জুড়ে তেলাপোকার রাজত্ব, সাথে যোগ দিয়েছে অসহ্য ছারপোকাও।
রোগীর চিকিৎসা দেবেন নাকি তেলাপোকা, ছারপোকা সামাল দেবেন সেটাই এখন মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
তেলাপোকার চাপে চিকিৎসা ব্যবস্থা এক প্রকার ভেঙে পড়েছে ভোলা সদর হাসপাতালে।
এভাবে তেলাপোকা আর ছারপোকার উপদ্রব অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ভোলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালটির বিভিন্ন ওয়ার্ডের রোগীদের বিছানাগুলো এখন ছারপোকা ও তেলাপোকার অভয়ারণ্য।
যত্রতত্র এসব প্রকার আক্রমণে দিশেহারা চিকিৎসা নিতে আসা মানুষ। পরিস্থিতি এমন যে হাসপাতাল নয় চিকিৎসা নিতে যেন তেলাপোকা ছারপোকার বাড়িতে এসেছেন রোগী ও স্বজনেরা।
সবচেয়ে ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে ভবনটির পাঁচতলার আর শিশু ওয়ার্ডে। পুরা ওয়ার্ড জুড়ে অগনিত ছারপোকা আর তেলাপোকার মিছিল। রোগীর কাপড়চোপড় থেকে শুরু করে খাবার- দাবার সবখানেই এদের অবাধ অবিচরণ।
পরিস্থিতি এমন যে ছারপোকা আর তেলাপোকার আক্রমণ থেকে শিশু রোগীকে বাঁচাতে রাত জেগে পাহারা দিতে হচ্ছে স্বজনদের।
এদিকে রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি অর্থ আদায় এমনকি না দিতে চাইলে হাসপাতাল কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন এক অভিভাবক।
অন্যদিকে হাসপাতালে তেলাপোকা ও ছারপোকা নিয়ন্ত্রণে নিজেদের ব্যর্থতার দায় অকপটে শিকার করলেন ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ আবু আহমেদ শাফি।
দ্বীপজেলা ভোলার প্রায় ২০ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার অন্যতম ভরসা ভোলা সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল।
এ হাসপাতালে প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে শত শত রোগী আসেন চিকিৎসা সেবা নিতে।
কিন্তু ২০২৩ সালের হাসপাতালটির ছয়তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার এক বছরের মাথায় ছারপোকা ও তেলাপোকার অভয়ারণ্যে পরিণত হওয়ায় দিশে হারা হয়ে পড়েছেন হাসপাতালের রোগী এবং স্বজনেরা।