মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়ার চরাঞ্চল এলাকায় বর্তমানে যমুনা নদীর ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কয়েকশ পরিবার। তীব্র ভাঙ্গনে ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে আবাদি জমি, ভিটেমাটিসহ সহায় সম্পদ। ভাঙ্গন কবলিত এসব এলাকার মানুষেরা প্রতিনিয়ত আতংকের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
গত কয়েক দিনে যমুনায় পানি বৃদ্ধি ও ঘন-ঘন বৃষ্টির ফলে প্রচন্ড ভাঙ্গনের কবলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদীর পাড়ের বসবাসরত মানুষজন। এসময় কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেক দিনমজুর মানুষ। বর্ষা মৌসুমে এখানকার মানুষজনের চলাচলের একমাত্র ভরসা হচ্ছে ইঞ্জিন চালিত সেলো ও নৌকা।
সরেজমিনে বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, বাঘুটিয়া বাজার থেকে শুরু করে পারুরিয়া পর্যন্ত ও বাঘুটিয়া নদীর পূর্বপার পাচুরিয়া, বাশাইল ও যোতকাশি এলাকায় সর্বনাশা যমুনা নদীর ভাঙ্গনের থাবায় নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বাপ দাদার আমলের রেখে যাওয়া ঘরবাড়ি, ভিটে-মাটি ও বিস্তীর্ণ জনপদ।
বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমজাত হোসেন জানান, গত এক সপ্তাহের যমুনাগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় ১৮ থেকে ২০টি বসত বাড়ি ঘর। ভাঙ্গনের হুমকির মুখে রয়েছে ৫ নং বাঘুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮৪ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরকালিকা পুর দাখিল মাদ্রাসা সহ অনেক গ্রাম। প্রতিবছরের দফায়-দফায় ভাঙ্গনের ফলে নিঃস্ব ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বাঘুটিয়ার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া দিনমজুর অসহায় মানুষজন। ভাঙ্গন ও যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে এলাকার মানুষজন তাদের পরিবার পরিজন, গৃহপালিতপশু-পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে ২টি স্থানে জিও ব্যাগ (বস্তা) ফেলার কাজ চলছে। দিশেহারা মানুষজন ভাঙ্গন রোধে দ্রুত সরকারের আরো কার্যকারী পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।