ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান মোঃ নূরে আলমের বিরুদ্ধে ৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ করা হয়েছে।
রবিবার সাংবাদিকদের সামনে এ অভিযোগ তুলে ধরেন ওই ইউনিয়নের চরলাপাং গ্রামের আবদুর রহিম। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে আবদুল রহিম গত ২ জুলাই মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪০৬/৪২০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। আদলত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
সুত্র জানায়, গত ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ওই ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ নূরে আলম তার নির্বাচনী ব্যায়ের জন্য রহিম মিয়ার কাছ থেকে এক সপ্তাহের কথা বলে ১০ লাখ টাকা ধার নেয়। ওই সনের ১৪ নভেম্বর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে উক্ত টাকা প্রদান করা হয়। কিন্তু নূরে আলম নির্বাচনের বিজয়ী হওয়ার পর ৩ লাখ টাকা রহিম মিয়াকে ফেরত দেয়,বাকি টাকা দেব দিচ্ছি করে তালবাহানা করে ঘুরাতে থাকে। গত ৩০জুন/২৪ পাওনা টাকা চাইতে গেলে খারাপ আচরণ করে টাকা দিতে অস্বীকার করে ।
এ ব্যাপারে ঘটনার অন্যতম স্বাক্ষী ওই ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন,চেয়ারম্যান আমাকে ও আরো কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাক্ষী রেখেই টাকা ধার নেয়। রহিমকে নিরহ পেয়ে এখন টাকা দিতে অস্বীকার করে । এ ঘটনার সুষ্টু বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে ওই পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম তার মোবাইল নাম্বারে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোন জবাব দেননি।
এ ব্যাপারে আবদুর রহিম বলেন, নির্বাচনের খরচের জন্য সে যে আমার নিকট থেকে ১০ লাখ নিয়ে তার স্বাক্ষী রয়েছে। নির্বাচনের কিছুদিন পর ৩ লাখ টাকা দেয় বাকি টাকা দেম দিচ্ছি করে অবশেষে গত কয়েকদিন আগে বাকি ৭ লাখ টাকা দিবে না বলে দুর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।