কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের নওদাবস গ্রামের কাঁচা রাস্তাটির বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদায় একাকার অবস্থা হয় দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের গোটা রাস্তাটির। যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা এ রাস্তায় চলতে হলে পায়ের জুতা হাতে নিয়ে চলতে হয় পথচারীদের।
কর্দমাক্ত রাস্তায় যাতায়াতের চরম ভোগান্তির শিকার এলাকাবাসী দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
সরেজমিনে ওই রাস্তায় গিয়ে দেখা গেছে, কাচা রাস্তাটির এক অংশ ফুলবাড়ী- আরডিআরএস বাজার পাকা সড়কের বই মোড়ের সাথে যুক্ত। অপর অংশ বড়ভিটা- খড়িবাড়ি সড়কের সাথে মাস্টার পাড়া চৌমুহনী বাজারে মিলিত হয়েছে। গ্রামীণ এ রাস্তাটি বর্ষার বৃষ্টিতে কাদায় চলাচলের একদম অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যাতায়াতের চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন ওই এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সর্বস্তরের মানুষ। চলাচলের বিকল্প কোন উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে কাদা মাড়িয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে অনেককে। জরুরী প্রয়োজনে মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
স্থানীয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, এ রাস্তা ধরে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সহ বেশ কয়েকটি হাইস্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পা পিছলে অনেক শিক্ষার্থীর পোশাক নোংরা হয়ে যায়। আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে অহরহ। শিশু শিক্ষার্থীরা কাদা মাড়িয়ে স্কুলে যেতেই পারেনা।
যাতায়াতের ভোগান্তির শিকার বাবুল মিয়া, বেলাল হোসেন, শফি কামার, জাবেদ আলী সহ অনেকে জানান, ওই এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ এই রাস্তায় চলাচল করেন। জেলা সদর, উপজেলা সদর, বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ সহ আশপাশের হাটবাজারে যাতায়াত করতে এ রাস্তাটিই তাদের একমাত্র ভরসা। কেউ অসুস্থ হলে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নেওয়ার ক্ষেত্রেও ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগীদের। তাছাড়া স্থানীয় কৃষকেরা প্রায় তিনশো একর জমির ফসল এ রাস্তা দিয়ে ঘরে তোলেন। স্থানীয়দের জীবন জীবিকায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানান তারা।
বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু সংবাদ সারাবেলাকে বলেন, ওই রাস্তা দিয়ে স্থানীয়দের চলাচলের ভোগান্তি দীর্ঘদিনের। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার গ্রামীণ রাস্তাগুলো সংস্কারে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। ওই রাস্তার সংস্কার ও পাকাকরণের জন্য ইতিমধ্যে তিনি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।