মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতের আজমান থেকে আবুধাবি যাওয়ার পথে গাড়ি বিস্ফোরণে নিহত ঢাকার দোহার উপজেলার হিরার (২২) পরিবারে চলছে শোকের মাতম। নিহত ইখলাছ মৃধা ওরফে হিরা দোহার খালপাড় এলাকার মঞ্জুরুল মৃধার ছেলে।
রবিবার সকালে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় হীরাসহ আরো ৪ প্রবাসীর মৃত্যু হয়।
নিহত বাকী চারজন হলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলার বালেঙ্গা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মো. রানা (৩০), আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. রাশেদ (৩২), শেখ ইরশাদের ছেলে মো. রাজু (২৪), শেখ ইব্রাহীমের ছেলে ইবাদুল ইসলাম (৩৪)। তারা সবাই সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমান প্রদেশে একই কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
সোমবার (৮জুলাই) দুপুরে উপজেলার দোহার খালপাড় এলাকায় নিহত হিরার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের। পিতামাতার দুই সন্তানের মধ্যে হিরা ছিলেন বড়। তার ছোট ভাই মিরাজ সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিহত হিরার পিতা মঞ্জুরুল মৃধা বলেন, ৭ মাস আগে টাকা ধার করে সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচ করে ভাগনির জামাইয়ের মাধ্যমে ভাগ্য বদলের আশায় ছেলেকে আরব আমিরাত পাঠাই। ভেবেছিলাম ঋনের টাকা পরিশোধ করে সুখের মুখ দেখবো। কিন্তু তা আর হল না। এখন কিভাবে সংসার চলবে আল্লাহ জানেন। তিনি আরো বলেন, টাকা গেলো কিন্তু আমার ছেলেটাও তো আর ফিরতে পারলো না।
জানা গেছে, দুবাই সময় সকাল সাড়ে সাতটায় কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আজমান প্রদেশে যাচ্ছিলেন পাঁচ প্রবাসী। এ সময় তাদের বহন করা গাড়িটি রাস্তায় বিস্ফোরিত হয়ে ঘটনাস্থলেই পাঁচ প্রবাসীর মৃত্যু হয়। বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটার দিকে নিহতের স্বজনরা ঘটনাটি জানতে পারেন।
এমন ঘটনায় এলাকায় হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের স্বজনরা সকলেই যেন বাকরুদ্ধ।