কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ভরে যাচ্ছে খাল-বিল। পানি জমে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ জনপদের কাঁচা রাস্তা। রাস্তাগুলোয় হাঁটুকাদা। চরম দুর্ভোগ সাধারণ মানুষের। টানা বর্ষণে বীরগঞ্জ উপজেলার ১১ ইউনিয়নের বেশির ভাগ কাঁচা রাস্তায় এখন হাঁটুকাদা।
এক সপ্তাহ ধরে অবিরাম বৃষ্টির কারণে ভোগনগর ইউনিয়নের ভোলানাথপুরে কাঁচা রাস্তাগুলোর বেহাল অবস্থা। শহরের রাস্তাগুলো পাকাকরণ হলেও অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ভোগনগর, পাল্টাপুর, শিবরামপুর, সুজালপুর, নিজপাড়া ও মোহনপুর ইউনিয়নের কাঁচা রাস্তাগুলো। প্রতি বছরের মতো এবারও বৃষ্টিতে হাঁটুকাদায় পরিণত হয়েছে। যা একদমই চলাচলের অনুপযোগী।
এতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের চলাচল এবং কৃষকের পণ্য পরিবহনে দুর্ভোগ বেড়েছে। শুধু তাই নয়, অসুস্থদের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যেতেও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। সরকারি উদ্যোগ না থাকায় নিরুপায় হয়ে অনেক স্থানে এ ভোগান্তি থেকে বেরিয়ে আসতে স্থানীয়রাই স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার করছেন।
সড়কগুলো পাকাকরণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেই, এমন অভিযোগ সুজালপুর ইউনিয়নের সতীশ চন্দ্র বর্মণের। তিনি বলেন, ‘সুজালপুরের বোয়ালমারী-মানকিরিয়া কাঁচা সড়কগুলোর বেহাল দশা। পাকাকরণ ও সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতেই চলাচল করা যায় না। এতে এলাকার মানুষ পড়েছে সীমাহীন দুর্ভোগে।’
ভোগনগর ইউনিয়নের ভাবকীগ্রামের মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা অবহেলায় আছি। এলাকার রাস্তাঘাট সংস্কার না হওয়ায় বর্ষাকালে হাঁটুকাদায় চলতে হয়। সরকার গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করার কথা ঘোষণা করলেও বীরগঞ্জ উপজেলার বেশির ভাগ গ্রামীণ সড়কের অবস্থা বেহাল। অনেক আবেদন করার পরও উপজেলা প্রশাসনের কাজ রাস্তার মাপজোক ও পরিদর্শনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।’ জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাগুলো সংস্কারসহ পাকাকরণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৯৮০ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ২৫৫ কিলোমিটার পাকা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জিবরীল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘গ্রামীণ সড়কগুলো বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পাকাকরণের কাজ প্রক্রিয়াধীন। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’