সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ অবরোধ করেছেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থী।
বুধবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে নগরীর দেওয়ান হাট স্টেশনে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থী। এছাড়া দিনব্যাপী বাংলা ব্লকেড কর্মসূচিতে নগরীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
এর আগে চট্টগ্রামে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনে নগরে আসেন। নিয়মিত সূচিতে এ ট্রেন ক্যাম্পাস ছাড়ত সকাল ৯টা ২০ মিনিটে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এ ট্রেন ছাড়ে ৯টা ৪০ মিনিটে। পরে ১০টা ১৫ মিনিটে সেটি ষোলশহর পৌঁছায়।
নিয়মিত সূচিতে ষোলশহর রেলস্টেশন থেকেই ১০টা ৪৫ মিনিটে সেটি ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে যেত। তবে শিক্ষার্থীরা এ ট্রেন নগরের দেওয়ান হাট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দাবি জানান। রেলওয়ে কর্মকর্তারা সেটি মানেননি।
দেখা যায়, শাটল ট্রেন দেওয়ান হাট পর্যন্ত নেয়ার দাবিতে শিক্ষার্থী ষোলশহর স্টেশন মাস্টারের কার্যালয় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা রেলওয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’; ‘নাতিপুতি কোটা নির্মূল করো’; ‘পোষ্য কোটার কবর দে’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন। পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ১১টা ১০ মিনিটে শাটল ট্রেনটি দেওয়ান হাট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয় রেল কর্তৃপক্ষ।
ষোলশহর রেলস্টেশন মাস্টার মো. জয়নুল আবেদীন বলেন, ট্রেন দেওয়ান হাট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দাবি করছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে সেটি তাদের হাতে নেই। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ না পাওয়ায় তারা অনুমতি দিতে পারেননি।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কারণে বেশ কয়েকটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। সর্বশেষ ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন দুপুর সাড়ে ১২টায় ছাড়ার কথা থাকলেও এখনো স্টেশন ছেড়ে যায়নি। শিক্ষার্থীরা না সরা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে না।