ফরিদগঞ্জে ইটের পরিবর্তে রাবিশ দিয়ে সড়ক নির্মাণের কাজ করার ঘটনায় স্থানীয় এলজিইডি ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী সড়কে ফেলা রাবিশ সরিয়ে নিয়মানুযায়ী বালি দিয়ে ফিলিং করার কথা থাকলেও তা করেন নি ঠিকাদার। উল্টো সড়কে থাকা রাবিশের উপর মেকাডমের কাজ শুরু করেছেন ঠিকাদার। স্থানীয়রা বাঁধা দিলেও ঠিকাদার বাঁধা উপেক্ষা করে কাজ অব্যাহত রেখেছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ৭৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কড়ৈতলী বাজার থেকে দক্ষিণ শাশিয়ালী এমএ বারী মিয়াজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৬৩০ মিটার সড়কের পাকা করণের কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসএম ফাহাদ এন্ট্রারপ্রাইজ।
স্থানীয়রা জানান, সড়কটি নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নানা অনিয়ম করে চলছেন। সড়কের কাজ নির্মাণে তিনি ইটের পরবর্তীতে রাবিশ ব্যবহার করায় নিবার্হী প্রকৌশলীর নিদের্শে সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়।
পরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি সড়কে ফেলা রাবিশ উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে সেখানে বালি ফিলিং করার অঙ্গিকার করে। কিন্তু ঠিকাদার সুলতান আহমেদ সেই অঙ্গিকার রাখেন নি। তিনি ওই রাবিশের উপর দিয়ে ম্যাকাডম করার কাজ শুরু করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তায় ফেলা রাবিশগুলো দিয়েই কাজ করছে ঠিকাদারের লোকজন। রাস্তার পাশে থাকা ইটের সুড়কি দিয়েই চলছে কাজ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আমান উল্ল্যা খান ফারাবী, মোস্তফা মিলন, ইউনুছসহ বেশ কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে স্কুল মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা দীর্ঘদিন যাবৎ দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। পরবর্তিতে রাস্তাটির কাজ শুরু করার খবরে আমাদের মনে স্বস্তি ফিরলেও যারা রাস্তার কাজ করে তাদের কর্মকান্ডে পূর্বের দূর্ভোগের চিন্তা আমার মাথায় আবার বাসা বেঁধছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমন নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করছে, যা জনসাধাণের চোখে তাদের দূর্নীতি দৃশ্যমান। নিশ্চয় সংশ্লিষ্ট কাজের দেখ-ভালের দায়িত্বে যারা রয়েছেন, তাদের সাথে গোপণ সমাঝোতা ছাড়া নিন্মমাণের সামগ্রী দিয়ে এমন কাজ করা কোন মতেই সম্ভব না। আমরা চাই সড়কের দেখ-ভালের দায়িত্বে যারা আছেন, তারা সঠিক তদারকি করে আমাদের সড়কের কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে সহায়ক হবেন।
কাজের বিষয়ে ঠিকাদার সুলতান আহাম্মেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নিয়ম মেনে কাজ করার চেষ্টা করছি।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আবরার আহমেদ বলেন, কড়ৈতলী বাজার থেকে দক্ষিণ শাশিয়ালী এমএ বারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কের অনিয়মের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। নিন্মমাণের সামগ্রী অপসারণ করার নির্দেশ প্রদান পূর্বক পুনরায় নিয়মানুয়ায়ী কাজ শুরু করার কথা বলেছি। আমি বিষয়টি সরেজমিন গিয়ে দেখবো। কোন প্রকারের অনিয়ম পেলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।