পুুলিশের অবস্থান নগরীর প্রধানসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক দিয়ে চলছে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যদের সাড়ি সাড়ি গাড়ি নিয়ে টহল। সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ থাকলেও কারফিউ শিথিলতায় স্বাভাবিক বর্তমান রংপুরের জনজীবন। অন্যদিকে আন্তজেলাসহ দুরপাল্লার বাস চলাচল করছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রংপুর নগরীর জাহাজ কোম্পানি, শাপলা চত্বর, পার্ক মোড়, মর্ডান মোড়, কাচারীবাজার, জিলাস্কুল, বঙ্গবন্ধু চত্বর ঘুরে দেখা যায়, কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় তান্ডবের ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীরে অনেকটাই স্বাভাবিক রংপুরের বাজারহাট। দোকানপাট ব্যবসা বাণিজ্য স্বাভাবিক নিয়মে খুলে রেখেছে দোকানিরা। কেনা-বেচাও চলছে স্বাভাবিকভাবে। তবে লোকজনের উপস্থিতি অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের থেকে কম দেখা গেছে। টানা তিনদিন থেকে রংপুরে কারফিউ শিথিল সকাল ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত। আর সারাদেশের মতো রংপুরেও সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত অফিস আদালতের সময়সীমা। সরকারের বেধে দেয়া নিয়মে অফিস আদালত খুলে আবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বন্ধ হচ্ছে। নগরীর প্রধান প্রধান বাজারহাট রাত ১০ টার মধ্যে বন্ধ করতে দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রে কোথাও দোকারপাট খোলা থাকলে পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনী বন্ধ করার কথা বলেন।
নগরীর অলিগলি ও প্রধান সড়কে প্রাইভেট গাড়ি কম চোখে পরলেও অটো রিক্সা, রিক্সা পর্যাপ্ত চলাচল করছে। দিনের বেলা বাধাহীনভাবে চলছে যানবাহন। তবে রাত ১০ টার পর নগরীতে সেনাবাহিনীর কারনে প্রধান সড়ক দিয়ে অটো রিক্সা চলাচল করতে দেখা যায় না। সিটি বাজারের মুদি দোকানী হানিফ মিয়া জানান, সকাল থেকেই লোকজন প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে আসেন। দিনের বেলা কেনাকাটা থাকলেও সন্ধ্যার পরপরই মানুষের যাতাযাত কমে যায়। একেবারে প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাজারে আসছে না। মাছ ব্যবসায়ী কাইফুল মিয়া জানান, কারফিউয়ের কারনে মাছের আমদানী কম। এজন্য মাছের দাম বেশি। ক্রেতাও কম। যা মাছ নেই বিক্রির জন্য অধিকাংশ দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। বিকেলের মধ্যে বাড়ি যাই। কাপড় ব্যবসায়ী নাসিম মিয়া জানান, প্রতিদিন দোকান খোলা হলেও তেমন বিক্রি নাই। একেবারে প্রয়োজন ছাড়া কেউ কাপড় কিনছেন না। সারাদিন প্রায় বসে থাকতে হচ্ছে। অটোচালক রমজান আলী জানান, শহরে লোকজন কম। বাইরে লোক খুবই কম। যার কারনে ভাড়া খুব বেশি নাই। অটো ভাড়া দিয়ে যা টেকে তাই দিয়ে কোনমতে সংসার চলছে। একই কথা জানান রিক্সাচালক মহির আলী।
এদিকে রংপুর থেকে সারাদেশের রেলযোগাযোগ বন্ধ থাকলেও কারফিউর শিথিলতায় আন্তজেলাসহ দুরপাল্লার বাস চলাচল করছে। তবে যাত্রী কম দেখা গেছে। একেবারে জরুরী কাজ ছাড়া কেউ বাসে চলাচল করছে না।
রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, রংপুর নগরীসহ জেলার সার্বিক পরিস্থিতি সন্তোষজনক। কারফিউ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত রংপুরে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী ছাড়াও বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা কাজ করছেন। আশা করছি দ্রুতই সব কিছু স্বাভাবিক হবে। এসময় তিনি জনজীবন স্বাভাবিক করতে রংপুরবাসীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh