তিনদিন ধরে পুলিশ বিহীন মৌলভীবাজারে প্রতিটি সড়কের যানজট মোকাবেলা সহ সার্বিক শৃঙ্খলা ফেরাতে একজোট হয়ে নেমেছে স্কুল, কলেজ সহ বিভিন্ন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগষ্ট) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের প্রতিটি সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে ট্রাফিক পুলিশের মতো দ্বায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
এসব কাজে শিক্ষার্থীর পাশে কাদে কাদ মিলিয়ে স্কাউট ও রোবার স্কাউটের সদস্য ও আনসার বাহিনীর সদস্যদেরও কাজ করতে দেখা গেছে।
গত ৫ আগষ্ট দুপুরে ঢাকায় ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া এবং আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের খবর আর সেনা প্রধানের জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষনের পর থেকে দেশ জুড়ে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ওইদিন থেকেই কার্যত পুলিশ বিহীন হয়ে পড়ে গোটা দেশের মতো মৌলভীবাজার জেলাও। এমন পরিস্থিতিতে সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে শিক্ষার্থীরা দ্বায়িত্ব নিজ কাদে তুলে নেন।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শহরের বেড়িরপার এলাকার পয়েন্টে যানজট নিরসনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এখানে সরকারি কলেজ, শাহমোস্তফা কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদেরও সড়ক নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে দেখা গেছে।
মৌলভীবাজার শাহমোস্তফা কলেজের শিক্ষার্থী তুহিন আহমদ জানান, পুলিশ বিহীন সড়কে আমরা চমৎকার ভাবেই দ্বায়িত্ব পালন করতে পারছি। চালক সহ সাধারণ মানুষও আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন এবং সহযোগিতা করছেন।
সড়কে দ্বায়িত্ব পালনরত আনসার বাহিনীর সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীরা ভালভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছেন।
এর আগে গত রবিবার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কার্যত পুলিশ বিহীন হয়ে পড়ে গোটা জেলা। এর পর ক্রমাগত সরকারি স্থাপনা ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক চলে হামলা ভাঙচুর, লুটপাট আর অগ্নিসংযোগের ঘটনা। এসব হামলার ঘটনায় বেশিরভাগই অংশ নিতে দেখা গেছে বহিরাগতদের।
এমন ঘটনার প্রেক্ষাপটে সম্পুর্ন ভেঙে পড়ে পুরো জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। হামলার মুখে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা চলে যান আত্মগোপনে। থানা সহ পুলিশের স্থাপনায় হামলার মুখে থানা ছেড়ে পালিয়ে যান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যরা।