জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ বেশ অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। তাই এবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরাই বাজারগুলোতে সকাল থেকে মনিটরিং শুরু করেছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীকে নিয়ে। যা সাধারণ মানুষ স্বাগত জানিয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছে, তারা প্রতিটি বাজারে টিম গঠন করে মনিটরিং চালাবে, যাতে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম না বাড়াতে পারে।
শনিবার (১০ আগস্ট) পৌরশহরের কলেজ বাজারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বাজার ঘুরে ঘুরে মনিটরিং করছে। সেই সাথে কলেজ বাজারের সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে, যে সকল ব্যবসায়ী ব্যবসা পরিচালনা করছে তাদের সেই সকল জায়গা দ্রুত ছেড়ে দিতে বলেন আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
এদিকে স্কাউট সদস্যরা মেইন রাস্তার যানজট নিরশনে সকাল থেকে প্রচুন্ড রৌদে দাড়িয়ে থেকে ট্রাফিক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
কলেজ বাজারের এক ক্রেতা শফিউল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। তরুণ প্রজন্মই পারে আমাদের এই দেশটাকে পরিবর্তন করতে। তাদের এ ধরনের কার্যক্রম দেখে আমি মুগ্ধ। আমরা সাধারণ মানুষ চাই বাজারে স্থিতিশীলতা আসুক।
আক্কেলপুর কলেজ বাজারের খুচরা দোকানী উজ্জল হোসেন জানান, শিক্ষার্থীরা বাজারে এসে আমাদের সবগুলো দোকান ঘুরে ঘুরে মনিটরিং করেছেন। কেউ যদি অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করে, তাহলে তাদের দোকান থেকে জিনিস কিনতে নিষেধ করে তারা। এছাড়া কেউ যদি কোথাও চাঁদাবাজি করতে আসে, তাদের (শিক্ষার্থীদের) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, নতুন বাংলাদেশের নির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, আড়ৎ, পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন পণ্যের মূল্য পর্যবেক্ষণ করছি। সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভোগান্তির জায়গা হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এ কারণেই আমরা বিভিন্ন বাজারে মনিটরিং চালাচ্ছি।
সেই সাথে আক্কেলপুর কলেজ বাজারে অবৈধ ভাবে অনেক জায়গা দখল করে রেখেছে ব্যবসায়ীরা। এতে করে সাধারন মানুষ বাজার করতে এসে ভোগান্তিতে পড়ছে। আমরা তাদের দ্রুত অবৈধ ভাবে দখল করে রাখা জায়গা ছেড়ে দিতে বলেছি। তারা যদি আমাদের কথা না শুনে তাহলে আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সেই সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দিবো।