গত ৪ আগস্ট দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে চান্দিনা উপজেলা ১৩ টি অফিস পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। চারদিকে এখনো আগুনের পোড়া গন্ধ। ভাঙচুর, লুটপাটসহ ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষতচিহ্ন। একটি দুটি নয়, একে একে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ১৩টি সরকারি দপ্তরে। এই দপ্তরগুলোর সবই কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত।
হামলা-ভাঙচুর চালানো হয় চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাংলোতেও। দু-একটি ছাড়া প্রায় প্রতিটি সরকারি দপ্তরের একই চিত্র। দেখলে মনে হয় যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত কোনো এলাকা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট অসহযোগের ডাক দিয়েছিল ছাত্ররা। সেই দিন দুপুর ২টায় শত শত দুর্বৃত্ত চান্দিনা উপজেলা পরিষদে হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, চান্দিনা উপজেলার পরিষদ কমপ্লেক্সে ঢুকতেই চোখে পড়ে কমপ্লেক্সজুড়ে ধ্বংসের চিত্র। উপজেলা পরিষদের ভবনের প্রবেশপথেই পড়ে আগুনে পোড়া চেয়ার, টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রের পোড়া অংশ।