জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের দিন থেকে পৌরসভার মেয়র শহিদুল আলম চৌধুরী ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদ আলী তাঁদের দপ্তরে বসছেন না। সরকার পতনের দিনে তাঁদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট বাড়িঘর ভাংচুরের আগে থেকেই মেয়র, প্যানেল মেয়র ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগাঁ ঢাকা দিয়েছেন। তাঁরা কোথায় রয়েছেন কেউ বলতে পারছেন না।
এদিকে অফিসের না বসার কারনে পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের সকল কাজ বন্ধ রয়েছেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষেরা, বঞ্চিত হচ্ছেন সকল ধরনের নাগরিক সেবা থেকে। স্থানীয়রা বলেন, সরকার দেশ ছেড়ে পালানোর খবরে পুরো উপজেলায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও তাঁদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার পর থেকে আওয়ামী লীগের মেয়র, প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলরসহ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে পালিয়ে ছিলেন। তবে দু’এক দিন আগে থেকে কাউন্সিলরদের মধ্যে দু’একজনকে প্রকাশ্যে বাজারে ঘুরতে দেখা গেছে।
তবে মেয়র ও চেয়ারম্যানকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দা সবুর হোসেন বলেন, ব্যক্তি আক্রোশে আমার বাড়িঘর ভাংচুর চালিয়ে টাকাপয়সা সহ সোনার গহনা লুট করার বিষয় নিয়ে আজ সকালে পৌরসভায় গিয়েছিলাম মেয়রের কাছে। কিন্তু মেয়র গত পাঁচ আগষ্টের পর থেকে অফিসেই আসেননি।
সফিকুল ইসলাম মিঠু বলেন, আজ সকালে উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি অফিসে নেই, কবে থেকে অফিসে বসবেন সেটি কেউ বলতে পারছে না, তাই ঘুরে চলে আসলাম আক্কেলপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রইচ উদ্দীন বলেন, গত পাঁচ তারিখের পর থেকে মেয়র শহিদুল আলম চৌধুরী পৌরসভায় আসছেন না। এমনকি এক নম্বর প্যানেল মেয়র সাদেকুর রহমান সাদেক, দুই নম্বর প্যানেল মেয়র আবুল কালাম আজাদও পৌরসভায় আসেননি। আমরা অফিসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়মিত অফিসে উপস্থিত হচ্ছি। পৌরসভার প্রতিটি কাজ মেয়রের স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়। মেয়র না থাকায় প্রতিদিন বহু লোক পৌরসভায় এসে সেবা না পেয়ে ফেরৎ যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারী আলিমুল রেজা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তাঁর কার্যালয়ে বসছেন না। তিনি অফিসে না আসায় আমি সরকারী কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য তাঁর বাসায় গিয়েছিলাম। তিনি কবে থেকে অফিসে আসবেন সেটি জানা যায়নি।
জানতে চাইলে আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুল আলম চৌধুরী বলেন, হামলাকারীরা আমার বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমি দুই তিন দিনের মধ্যে আক্কেলপুর পৌরসভায় বসবো।