তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার ১৭০ টি নির্বাচন কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করা আনসার-ভিডিপি সদস্যরা তাদের বকেয়া ভাতা পাননি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ৩য় ধাপ ২০২৪ সালের ২৮ মে তারিখে সাটুরিয়া ও মানিকগঞ্জ সদর এ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে অস্ত্রধারী ও অস্ত্রবিহীন ২ হাজারের বেশি আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। প্রতি কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেন ১২ জন আনসার ভিডিপি সদস্য।এর মধ্যে একজন প্লাটুন কোমান্ডার (পিসি), একজন সহকারী প্লাটুন কোমান্ডার (এপিসি), ৪ জন নারী ও ৬ জন পুরুষ।প্রত্যেক পিসি ও এপিসি প্রতিদিন দায়িত্ব পালনের জন্য ভাতা পাবেন ১০৫০ টাকা। সেই হিসাবে পিসি ও এপিসিরা ৬ দিনের প্রত্যেকে ভাতাসহ নীট টাকা পাবে ৬ হাজার ৫৫০ টাকা। আর সাধারন সদস্যরা প্রতিদিন ১ হাজার টাকা করে পাবেন ৬ হাজার ২৫০ টাকা।
আনসার সদস্য হাকী জানান, আনসার -ভিডিপি সদস্যরা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসে কাজ করে। যখন, নির্বাচনি কাজে হাড়ভাঙা খাটুনির বকেয়া ভাতা কবে জুটবে অফিস তা সুনির্দিষ্ট করে বলছে না। তখন বকেয়ার জন্য অফিসে ঘুরে পেরেশান হতে হয় ।
আনসার সদস্য মো. মিয়া জানান, একজন আনসার সদস্যকে নির্বাচন উপলক্ষে টানা ছয় দিন ডিউটি করতে হয়। আনসার-ভিডিপি সদস্যরা এখন পযন্ত বরাদ্দের সরকারি ভাতা পাননি। ফলে তাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।কাজেই নির্বাচন ডিউটির বকেয়া ভাতাটা যেন অতিসত্বর পান সেটির জোর দাবি জানান ।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বলেন, 'নির্বাচনের ডিউটিতে যাওয়ার আগেই উপজেলা আনসার ও ভিডিপি দলনেতারা সিন্ডিকেট করে সাধারণ আনসার সদস্যদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে অগ্রিম বখরা আদায় করা হয়। আমার মতো যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের প্রত্যেকের নিকট থেকে উৎকোচ নেওয়া হয়েছে।যার কাছ থেকে যেমন নিতে পারে আর কি!
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ড্যান্ট এ. এস. এম. সাখাওয়াৎ হোসাইন জানান, কোনো দলনেতা যদি টাকা নিয়ে থাকে লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো জানান, ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন ৩য় ধাপের টাকা বাংলাদেশের কোন জেলা বা উপজেলাতে প্রদান করা হয় নাই। যারা ডিউটি করেছেন, তাদের অপেক্ষা করাতে হবে । তাই, সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার ভাতা দিতে পারছি না। অন্য সকল উপজেলার ভাতা বিতরণ আমরা সম্পন্ন করেছি। প্রকৃতপক্ষে বাজেট বরাদ্দ না আসলে বাংলাদেশের কোন জেলা টাকা বিতরণ করতে পারবে না। কেউ কেউ গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে। গুজবে কান না দিয়ে আমরা সচেতন হই। শুধু আনসার বাহিনী নয়, অন্য যেসকল ব্যক্তি বা সংস্থা ৩য় ধাপে ডিউটি করেছে, তারা কেউ বরাদ্দ পায় নি।