আগে একশ টেহা চাঁদা দিতে অইতো অহন আর দিতে হয়না। শেখ হাসিনার আমলে যে কোন সবজির দাম আছিল ৮০ হইতে ১২০ টেহা। আর অহন আমরা এই সবজি ব্যাচি ৪০-৫০ টেহা। চাঁদার কারণে আমগো সবজির দাম বেশি ব্যাচতে হইতো। সরকার পতনের পর অহন আর চাঁদা লাগে না। তাই দামও কম।
চোখে মুখে আনন্দের মুচকি হাসি দিয়ে এ কথাগুলো বলেছিলেন মো: রুমেল আহম্মেদ নামের ষাটোর্ধ বয়সী এক সবজি বিক্রেতা। বুধবার কিশোরগঞ্জের বড়বাজার ব্রীজের উপর সবজির বাজারে সবজির দাম নিয়ে তথ্য সংগ্রহকালে এ প্রতিবেদকে তিনি একথা বলেন।
সরকার পতনের আগে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির চাকায় পৃষ্ঠ হচ্ছিল সাধারণ মানুষ। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছে সাধারণ ক্রেতা। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর কমতে শুরু করেছে সব ধরণের সবজির দাম। এতে খুশি সাধারণ ক্রেতারা।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সরেজমিনে কিশোরগঞ্জ বড়বাজারে এসে দেখা যায়, চিচিংগা ৫০, টাকা, ঢেঁরস ৪০ টাকা, পেপে ৩০ টাকা, কাকরল ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৮০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সবজির সাথে কমছে পাঙ্গাস, রুই, মৃঘা, তেলাপিয়া সহ অন্যান্য মাছের দাম।
তবে অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম। প্রতিকেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা, আলু ৬০ টাকা। প্রতিলিটার সয়াবিন তেল ১৫৮, দেশী ডাল ১৩০, নেপালী ডাল ১০৫, চিনি ১২৫ টাকা।
মো: আবু বক্কর ও সাইদুর রহমানসহ আরো অনেক সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘সরকার পতনের পর কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। আমাদের প্রতি স্ট্যান্ডে চাঁদা দিতে হতো। এমনকি আমরা যে জায়গাটিতে বসি সেখানেও প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা চাঁদা দিতে হতো। এখন আর চাঁদা দিতে হয় না। আমরা এখন শান্তিতে ব্যবসা করি।’
আবুল কালাম নামের এক ক্রেতা জানান, আগে যেকোন সবজি ৮০-১২০ টাকা কেজি দরে কিনতে হতো। এখন ছাত্রদের আন্দোলনের পর তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। আশাকরি এই সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখবে।
কিশোরগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালন হৃদয় রঞ্জন বনিক বলেন, ‘আমরা কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে সব ধরণের পণ্যের উপর বাজার মনিটরিং করছি। আশাকরি সব ধরণের নিত্যপণ্যের দাম ক্রেতাদের আওতার মধ্যে চলে আসবে।’