বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর দেশ ত্যাগ করে চলে যাওয়ায় ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ গুলোর চেয়ারম্যান, মেম্বার ও জনপ্রতিনিধিরা লাপাত্তা হয়েছেন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেবা প্রত্যাশীরা। কার্যালয় ছাড়ার এক সপ্তাহের অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও তাদের অনেকেই এখনো কার্যালয়ে ফেরেননি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বেশকিছু ইউনিয়ন পরিষদ বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু ইউনিয়ন পরিষদে উদ্যোক্তারা উপস্থিত থাকলেও চেয়ারম্যান-মেম্বারের স্বাক্ষরের জন্য ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে সেবা প্রার্থীদের। তবে কিছু কিছু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারা আত্নগোপনে থেকে সই স্বাক্ষর করে জনসাধারণকে সেবা দিচ্ছেন বলেও জানাগেছে।
সেবা প্রার্থীরা জানান, সকাল সাড়ে ৯টা ও ১০টায় পরিষদে এসে অপেক্ষা করছেন তবুও চেয়ারম্যান ও মেম্বারের দেখা নেই। তবে ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক সেবা প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরিষদে চেয়ারম্যান না থাকায় তারা দুর্ভোগে পড়েছেন। চেয়ারম্যান উপস্থিত থাকলে বেশির ভাগ সেবা তৎক্ষণাৎ পাওয়া যেতো। অনুপস্থিত থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি যেখানে বলছেন সেখানে যেতে হচ্ছে।
এসময় স্থানীয় জনসাধারণ অভিযোগ করে বলেন, গত (৫ আগস্ট) সোমবার দুপুরের পর থেকে জনপ্রতিনিধিদের খুজে পাওয়া যায় না। লোকজন প্রতিদিন এভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে অপেক্ষা করেও সেবা পাচ্ছে না।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তারা জানান, চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেই ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সেবা প্রার্থীদের পুরোপুরি সেবা দিবেন তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নওরীন হক সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এই বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষেকে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।