নীলফামারীর সদরে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আওয়ামী লীগের ৪১ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আরও দেড় শ জনকে আসামি করা হয়।
সোমবার বিকেলে সদর থানায় মামলা করেন যুবদল নেতা শামিম শাহ আলম তমু। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এম আর সাঈদ। তিনি জানান, গতকাল সোমবার মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড় শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মো. মাহাবুল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মনিরুল হাসান শাহ আপেল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারা দেশের মতো নীলফামারীতে ছাত্র-জনতা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করে। ওই সময় উল্লিখিত ব্যক্তিরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রদের ওপর হামলা চালান। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বাদীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এলিন এন্টারপ্রাইজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মালামাল লুট করে।
এ সময় বাদীকে না পেয়ে তাঁরা স্থান ত্যাগের সময় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান। অগ্নিকাণ্ডে বাদীর দুটি মাইক্রোবাস ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জিম্মায় থাকা অপর একটি ব্যক্তিগত কার পুড়ে যায়।
এসব ঘটনায় ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র, ২ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টাকার যন্ত্রাংশ, ৫০ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের তিনটি গাড়িসহ মোট ৫৫ লাখ ৪৭ হাজার ৭০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতির কথা মামলায় উল্লেখ করা হয়।