নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা অঞ্চলকে নদী ভাঙন এবং বন্যা থেকে বাঁচাতে পূনরায় টেকসই এবং আধুনিক "স্লুইস গেট" নির্মাণ করা হােক জনসাধারণের দাবি তুলেছে।
মুছাপুর "স্লুইস গেট" বিলীণ হয়ে যাওয়ার পর অত্র অঞ্চলের মানুষের সকল স্বপ্নস্বাধ সব নিমিষেই শেষ হয়ে গেল। মুছাপুর "স্লুইস গেটটি" অতিরিক্ত পানির স্রোতে ২০২৪ সালের (২৬আগস্ট) ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
কােম্পানীগঞ্জ উপজেলা জনসাধারণের দাবি , নতুন করে টেকসই "স্লুইস গেটটি" স্থাপন করা হোক। "স্লুইস গেট ও ব্রিজ গুলোর আশপাসে থেকে বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হোক।
মুছাপুর "স্লুইস গেট" ভেঙ্গে যাওয়ার পর কোম্পানীগঞ্জ , সোনাগাজী, দাগনভূঞা এলাকায় ভাঙ্গনের আশঙ্কা ছাড়াও এমতাবস্থায় কৃষি ও কৃষকও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
মুছাপুর রেগুলেটরের পানি নিষ্কাশন ক্ষমতা ৭৫৬.১৫ ঘনমিটার/সেকেন্ড এবং এর পানি ধারণ সমতল (+) ৪.০০ মিটার (পিডব্লিউডি)। এতে করে ৮০ হাজার হেক্টর আবাদি জমি সেচ সুবিধা হবে ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে শস্যের নিবিড়তা বেড়ে দাঁড়ায় ২২০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
"স্লুইস গেট" নির্মাণ করা হলে পরবর্তী বছরে অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে প্রায় ২ লাখ ৪৬ হাজার ১১৩ মেট্রিক টন। তখন তার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২শ কোটি টাকারও বেশি হবে বলে ধারণা করেছিল কৃষি বিভাগ।
পূর্বে ডাকাতিয়া ও ছোট ফেনী নদী নিষ্কাশন প্রকল্পে ২৫০ কােটি টাকা ব্যয়ে এ ক্লোজার নির্মাণ করা হয়েছে।
মুছাপুর "স্লুইস গেট" নির্মাণ করা হলে একমাত্র দুঃখ নদী ভাঙন দূর হবে কােম্পানীগঞ্জ উপজেলা। নদী ভাঙন থেকে বাঁচবে উপজেলার চর এলাহী, মুছাপুর, চর হাজারী, চরপার্বতী, চর ফকিরার গুচ্ছগ্রামসহ ৫ ইউনিয়নের ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ।
রক্ষা পাবে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাসনা মওদুদ আশ্রয়ন প্রকল্প, এরশাদ কলোনি ও গুচ্ছগ্রাম আর্দশ পুনর্বাসন কলোনি। কাজে আসবে সিসি ব্লক, বল্লী ও স্লুইচ গেট।
অতিরিক্ত পানির স্রোতে কোম্পানীগঞ্জের উপকূলীয় অঞ্চলে ৫ ইউনিয়নে ৪টি বেড়ীবাঁধ ও ৩শ’ বসত বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভাঙন রোধে সরকার যদি নতুন ডাকাতিয়া নদী ও পুরাতন ডাকাতিয়া ছোট ফেনী নদী উপর
অতি শীঘ্রই মুছাপুর স্লুইস গেট নির্মাণ কর্মপরিকল্পনা হাতে না নিলে কােম্পানীগঞ্জ উপজেলা নদী গর্ভে চলে যাবে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবি) সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং অন্তবর্তীকালীন সরকারের অভহিত করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
পূনরায় কােম্পানীগঞ্জ উপজেলা মুছাপুর ক্লােজার ছোট ফেনী নদীর ওপর ১.০৮০ কি.মি. দৈর্ঘ্যের ক্লোজার নির্মাণ, মুছাপুর রেগুলেটর, ৫৯.৬৫ কি. মি. ক্লোজার সংলগ্ন টাই বাঁধ, ৩০ কি. মি. অভ্যন্তরীণ চ্যানেল খনন ও ১০৯.৮৬ কি. মি. সংযোগ খাল পুন:খনন করা দরকার।
স্লুইচ গেট নির্মাণ করা হলে এলাকায় বিদ্যমান শস্য নিবিড়তা ১৫৫.৬৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২২০.৪৫ শতাংশ হবে। প্রকল্পের মাধ্যমে বার্ষিক অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন হবে ২ লাখ ৪৬ হাজার ১১৩ মেট্রিক টন।
কিন্তু কােম্পানীগঞ্জ উপজেলা মুছাপুর ক্লােজার রেগুলেটরটি বিলীণ হয়ে যাওয়ার পর এমতাবস্থায় মানুষের সকল স্বপ্নস্বাধ সব নিমিষেই শেষ হয়ে গেল, জনসাধারণের দাবি ,নতুন করে টেকসই "স্লুইস গেট" স্থাপন করা হোক।