কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাজধানী ঢাকার উত্তরা আজমপুর এলাকায় আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের বিস্কুট ও পানি খাওয়ানো কালে বিকেল ৫টায় পুলিশের নিক্ষিপ্ত গুলি বিদ্ধ হয়ে শহীদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিয়ালিশ্বর গ্রামের অধিবাসী এবং বর্তমানে ঢাকার উত্তরা নিবাসী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও সেনাবাহিনী পরিচালিত সাভার বিইউবি’র এম.বি.এ অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ’র বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায়।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার দপ্তরে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, সরকারি চাকুরিতে বৈষম্য নিরসনে সংঘটিত আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের নিয়ন্ত্রিত বাহিনীর গুলিতে বিদ্ধ হয়ে আত্মদানের মাধ্যমে শহীদ হয়েছেন মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধসহ হাজারো ছাত্রছাত্রী নারী পুরুষ শিশু- জনতা। তাদের এই আত্মদানের সূত্র ধরে ঘটেছে স্বৈরাচারী সরকারের পতন। এর ধারাবাহিকতায় আমরা দ্বিতীয় মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। যা আমাদেরকে চিরকাল স্মরণ রাখতে হবে। এ দেশে সর্বক্ষেত্রে কোন বৈষম্য থাকবে না।
আন্দোলনের সফলতা ধরে রাখতে সারা দেশে দূর্নীতি, চাঁদাবাজিসহ কোন অপরাধ চলতে দেয়া যাবে না। সবাইকে আন্তরিক ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমরা চাই সর্বস্তরের মানুষের শান্তিপূর্ণ বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ। তিনি দপ্তরে ও পরে শ্রেণিকক্ষে মহান আল্লাহর দরবারে উক্ত আন্দোলনে পুলিশ ও দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে রংপুর ঢাকাসহ সারা দেশে শাহাদাৎ বরণকারী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধসহ সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এর পাশাপাশি শহীদি মর্যাদা কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন।
ঐ সময় জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মোবারক উল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার আমীর সৈয়দ আনোয়ার আহমেদ লিটন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের উপদেষ্টা ও শহীদ মুগ্ধ’র পিতা মীর মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান, সহ-সভাপতি সাংবাদিক আবুল হাসনাত অপু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আলী হায়দার তুষার, কার্যকরী সদস্য এড: শেখ জাহাঙ্গীর, সদস্য সাইফুল আলম তিলক, জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এ.বি.এম. মোমিনুল হক সহ মাদ্রাসার দাপ্তরিক কর্মকর্তা- শিক্ষক এবং ছাত্ররা এতে অংশ নেন।