কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ (ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং) এর উপকারভোগীর চাল আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করে উপজেলা প্রশাসন। গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে চাল আত্মসাতের প্রমাণ মিললেও বহাল তবিয়তে আছেন উপজেলার ৪ নং বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু।
জানা যায়, গত ঈদুল আজহা উপলক্ষে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের হতদরিদ্র পরিবারে জন প্রতি ভিজিএফ এর ১০ কেজি করে চাল বিতরণের লক্ষ্যে ৬ হাজার ৩৭৫ জনের তালিকা প্রণয়ন করা হয়। উপকারভোগীর তালিকা প্রণয়নের সময় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যগণ নিজ নিজ এলাকার হতদরিদ্র মানুষের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রদান করেন। পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবের নিকট হতে উপকারভোগীর তালিকা সংগ্রহ করে ইউপি সদস্যরা দেখতে পান তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। উপকারভোগীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত অনেক ব্যক্তিই তাদের অচেনা। তালিকার অনেক জায়গায় একই ব্যক্তির নাম ও মৃত ব্যক্তির নামও রয়েছে। জানতে পেরে বিতর্কিত তালিকার উপকারভোগীদের মাঝে চাল বিতরণ কার্যক্রমে অংশ গ্রহনের অস্বীকৃতি জানান ওই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগন। তারপরেও চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টু ইউপি তাদের আপত্তিকে উপেক্ষা করে ওই তালিকা মোতাবেক উপকারভোগীদের মাঝে চাল বিতরণের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
পরে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ১১ জন সদস্য গত ১২ জুন তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন ঘটনার তদন্তে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সবুজ কুমার গুপ্ত বলেন, তদন্তে চেয়ারম্যান কর্তৃক ১ দশমিক ৭৪০ মেট্রিকটন চাল আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। দায়ী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি।
চাল আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহনুমা তারান্নুম বলেন, গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। ব্যবস্থা গ্রহনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।