ভোলার চরফ্যাসনে ভুল চিকিৎসায় মুন্নি আক্তার নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতাল রোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল ইউনাইটেড নামের প্রাইভেট ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. আঁখি আক্তারের অবহেলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টায় অস্ত্রপাচারের সময় এই ঘটনা ঘটে। অস্ত্রপাচারের সময় প্রসূতির মৃত্যু হলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় সদ্যভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতক শিশু।
নিহত মুন্নি আক্তার উপজেলার আমিনাবাদ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে।
জানা গেছে, অস্ত্রপাচারের সময় মুন্নির মৃত্যু হলেও বিষয়টি কর্তব্যরত চিকিৎসক গোপন রেখে প্রসুতিকে দ্রুত বরিশাল শেবাচিমে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি টের পেয়ে ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ক্লিনিকের ভেতরে হট্টোগোল শুরু করেন। পরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়। পরে রাতেই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ওই নারীর পরিবারকে এক লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করেন।
নিহত মুন্নির বাবা আনোয়ার হোসেন জানান, দুপুরে তার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের প্রসববেদনা শুরু হলে পরিবারের সদস্যরা চরফ্যাসনের সেন্ট্রাল প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যান। কর্তব্যরত গাইনি চিকিৎসক ডা. আঁখি আক্তার কোন রকম পরীক্ষা ছাড়াই গর্ভের সন্তান সংকটাপন্ন বলে জানান এবং পূর্বের পরীক্ষার রির্পোট অনুযায়ী অস্ত্রপাচারের সিদ্ধান্ত নেন। অস্ত্রপাচারের সময় নবজাতক শিশু জীবিত থাকলেও মৃত্যু হয় মেয়ে মুন্নি আক্তারের।
ক্লিনিকের পরিচালক মো. বশির আহমেদ জানান, 'নারীর পরিবার বাড়িতে নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করে যখন প্রসূতির অবস্থা সংকটাপন্ন তখন তাদের ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকের কাছ থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি গর্ভের সন্তানের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে দ্রুত অস্ত্রপাচারের সিদ্ধান্ত নেন। পরে প্রসূতি নারীর জ্ঞান না ফেরায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে রেফার করা হয়। তবে চিকিৎসকরা ধারণা করেছেন ওই নারীর অস্ত্রপাচারের সময় স্টোক করেছেন। পরে তিনি মারা গেছেন।'
এ বিষয়ে জানতে ওই ক্লিনিকে গেলে চিকিৎসক আঁখি আক্তারকে পাওয়া যায়নি। পরে তার মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।