কুড়িগ্রামের রৌমারী প্রেসক্লাবে উপজেলা বিএনপি'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদ হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রেসক্লাবে থাকা সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজাকে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদকের ভিডিও করার বিষয় জানতে চেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হত্যার হুমকী দেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে।
এ ঘটনায় রৌমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে রৌমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও আমাদের সময় পত্রিকার রৌমারী-রাজিবপুর উপজেলা প্রতিনিধি সুজাউল ইসলাম সুজা।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, শনিবার সন্ধা ৭টার পর থেকে রৌমারী প্রেস ক্লাবে বসে নিউজের কাজ করছিলেন সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজা। পরে রাত ৯টার দিকে হঠাৎ করে রৌমারী উপজেলা বিএনপি'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদ হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শামীম ইসলাম, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী হাসান(কাঠবাবু), স্বেচ্ছা সেবকদলের যুগ্ম আহবায়কসহ ৩০ জনের একটি দল এসে প্রেসক্লাবে প্রবেশ করে। পরে সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজাকে উপজেলার বিএনপি' র সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রন্জুর ভিডিও রিপোর্ট করার কারণ জানতে চান। সভাপতি অস্বীকার করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি প্রদান করে। এসময় তারা উত্তেজিত হয়ে প্রেসক্লাবের টেবিলের গ্লাস ভাংচুর করে। ঘটনার সময় স্থানীয়রা প্রেসক্লাবে আসলে তারা আবারও হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনার পরদিন আজ (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রৌমারী থানায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৫ নেতার নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে রৌমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজা।
এ বিষয়ে রৌমারী প্রেসক্লাবের সভাপতি সুজাউল ইসলাম সুজা জানায়, প্রেসক্লাবে হামলা ও প্রাণনাশের হুমকির বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছি। রৌমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আইনি বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা বিএনপি'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর জানান, রৌমারী প্রেসক্লাবের সভাপতির সাথে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টা শুনে আমি ঘটনার শেষ দিকে সেখানে যাই। এর বেশি কিছু আমি জানি না।
রৌমারী থানার ওসি তদন্ত হেলাল জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।