মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের যুক্তফ্রন্ট বাজার থেকে দুই রোহিঙ্গা সহ ৫ জনকে আটক করেছে স্থানীয়রা।
আজ (০৮ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাদের দেখতে পেয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে জানায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় চেয়ারম্যান তাদের আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন।
জানা যায়, ইমরান নামের এক দালালের মাধ্যমে জনপ্রতি ৮ হাজার টাকা চুক্তিতে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে। তবে তারা ঐ দালালকে কোন টাকা পরিশোধ করেনি। রোহিঙ্গা ২ জন কুমিল্লা বর্ডার দিয়ে গত শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ভারতে প্রবেশ করে। বাংলাদেশী ৩ জন খাগড়াছড়ি জেলার মাঠিরাঙ্গা হয়ে গত বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ভারতে প্রবেশ করে। তারা আগরতলায় ভারতীয় পুলিশের কাছে আটক হয়। পরে পুলিশ তাদের ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর হাতে তুলে দেয়। বিএসএফ রাতে জুড়ীর লাঠিটিলা সীমান্তের পুতন্তী নদী দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশব্যাক করে।
স্থানীয় যুবক খালেদ মাসুদ জানান, আটককৃতরা লাঠিটিলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায়, দালালের মাধ্যমে কাজের জন্য তারা ভারতে যায়। পরে বিএসএফ তাদের লাঠিটিলা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পুশব্যাক করে।
আটককৃত দুই রোহিঙ্গা হলো- কুতুপালংয়ের ১৮ নাম্বার ক্যাম্পের আলী আকবরের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও আমান উল্লার মেয়ে আসমা বিবি। বাংলাদেশি ৩ জন হল- খুলনার তেরখাদা উপজেলার আজুপাড়া গ্রামের আব্দুল হাকিম সরদারের ছেলে আবু হানিফ সরকার, মেয়ে নীলিমা খাতুন ও আবু হানিফ সরকারের স্ত্রী একই গ্রামের নজরুল হাওলাদারের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার।
৮ নং গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ূম বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) লাঠিটিলা সীমান্ত দিয়ে এই পর্যন্ত বেশ কিছু মানুষ বিজিবির সাথে পতাকা বৈঠক ছাড়া গোপনে পোষব্যাক করেছে। এখন পর্যন্ত যে সকল মানুষ অনুপ্রবেশ করেছে, তাদেরকে স্থানীয় মানুষ আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে হস্তান্তর করে। তাহলে সীমান্তে বিজিবির কাজ কি? বিজিবি যদি এসব দায়িত্ব পালন করতে না পারে তাহলে দেশের ছাত্র-জনতার কাছে তাঁরা দায়িত্ব হস্তান্তর করুক। সীমান্তের নিরাপত্তার দরকার। বিজিবি এরকম অবহেলা করলে বৃহত্তর এই এলাকা অনিরাপদ থাকবে। আমি সীমান্ত নিরাপত্তা চাই।
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, শুনেছি বিজিবি সীমান্ত থেকে ৫ জনকে আটক করেছে। তবে এখনও তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়নি। থানায় আসলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।