মতলব উত্তর
অগ্রণী ব্যাংকের ভোল্ট থেকে ৭৫ লাখ টাকা উধাও; সদ্য ব্যবস্থাপক যোগদান
তুহিন ফয়েজ, মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি।
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:১৩ পিএম
ছবিঃ সংগৃহীত
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার অগ্রণী ব্যাংক ছেংগারচর বাজার শাখার ক্যাশ ভোল্ট থেকে প্রায় ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি লিমিটেড ছেংগারচর বাজার শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া (৪০) রোববার (১ সেপ্টেম্বর ) বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় মামলা করেন। মামলা করেন মামলা নং ০১ ( ০৯) ২০২৪ ধারা ৪০৯/ ৪২০/ ৩৪ ৷
মামলায় আসামি করা হয়েছে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার দীপংকর ঘোষকে (৩৮)। দীপংকর ঘোষ মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামের বলাই ঘোষের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি লি. ছেংগারচর বাজার শাখার অফিসার (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন দীপংকর ঘোষ। গত ২৯ আগস্ট দীপংকর ঘোষ ব্যাংকে না আসায় তার ব্যবহৃত মোবাইলে কল করলে তিনি জানান, বাবা অসুস্থ আসতে দেরি হবে। তবে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ব্যাংকে না আসায় পুনরায় তাকে ফোন করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এক পর্যায়ে প্রকৃত অবস্থান জানার জন্য তাহার স্ত্রী আঁখি সাহার মোবাইলে ফোন দেয়া হয়। এ সময় তিনি জানান আমার স্বামী বেলা ১২টায় অফিসের উদ্দেশ্যে ঢাকার বাসা থেকে বের হয়েছেন।
এদিকে বিকেল হলেও দীপংকর ঘোষ ব্যাংকে উপস্থিত না হওয়ায় ব্যাংকের ভোল্ট খোলা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তার কার্যকলাপে সন্দেহ হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া।
জানা যায় দীপংকর ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং ভল্টের থাকা নগদ টাকা পরিমাণ যথাযথ আছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মোতাবেক ৩০ আগস্ট মতলব উত্তর থানার একটি সাধারন ডায়েরি করেন ম্যানাজার ৷
১ সেপ্টেম্বর জিডির প্রেক্ষিতে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, থানা পুলিশের উপস্থিতিতে মিস্ত্রি দ্বারা ভল্টের গ্রিল কেটে এবং চাঁদপুরস্থ প্রধান শাখায় রক্ষিত ডুব্লিকেট চাবি দিয়ে ভোল্ট খোলা হয়। পরবর্তীতে সকলের উপস্থিতিতে গণনা করে ভল্টে ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮ টাকা ৭১ পয়সা পাওয়া যায়।
ব্যাংকের ক্যাশ পজিশন অনুযায়ী এক কোটি দুই লাখ ৯৯ হাজার ৬৮ টাকা ৭১ পয়সা ছিল। অর্থ্যাৎ গণনার সময় ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা কম পাওয়া যায়।
মামলায় আরও উল্লেখ্য আছে, ব্যাংকের ক্যাশিয়ার দীপংকর ঘোষ বিগত কিছুদিন যাবত মাঝে মধ্যে কাধে ঝুলানো একটি ব্যাগ নিয়ে আসতেন এবং সেটি নিয়ে অফিস ত্যাগ করতেন। তিনি ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার হিসেবে কর্মরত থাকায় ব্যাংকের ভোল্টের একটি চাবি তার কাছে রক্ষিত থাকাতে। কৌশল অবলম্বন করে সে নিজে অথবা অজ্ঞাতনামা বিবাদীগণ ব্যাংকের ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংকের ছেংগারচর বাজার শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় মামলা করেন।
ঘটনার ১০ দিন পর ১০ সেপ্টেম্বর উক্তঘটনাটি স্থানীয়দের মাঝে জানা জানি হলে গ্রাহকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ৷
ঘটনাটি ঘটার সাথে সাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের না জানানোর বিষয়টি জানার জন্য গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর অগ্রণী ব্যাংক ছেংগারচর বাজার শাখায় গিয়ে শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়াকে পাওয়া যায়নি তার ফোন নাম্বারে একাধিকবার কল করার পরেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি ৷
তবে অগ্রণী ব্যাংক ছেংগারচর বাজার শাখার সদ্য যোগদানকৃত শাখা ব্যবস্থাপক সুমন চন্দ্র সুর জানান, আমি আজ ১২ সেপ্টেম্বর এই শাখায় যোগদান করেছি আগে যিনি ছিলেন,ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া তিনি গতকাল ১১ সেপ্টেম্বর এই শাখা থেকে চলে গেছেন কোথায় গেছে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে কিনা এব্যাপারে আমি কিছু জানিনা ৷
মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, অগ্রণী ব্যাংক ছেংগারচর বাজার শাখার ক্যাশ ভোল্ট থেকে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে ক্যাশিয়ার দীপংকর ঘোষ ও অজ্ঞাত নামা আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
মামলায় আসামি করা হয়েছে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার দীপংকর ঘোষকে (৩৮)। দীপংকর ঘোষ মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামের বলাই ঘোষের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি লি. ছেংগারচর বাজার শাখার অফিসার (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন দীপংকর ঘোষ। গত ২৯ আগস্ট দীপংকর ঘোষ ব্যাংকে না আসায় তার ব্যবহৃত মোবাইলে কল করলে তিনি জানান, বাবা অসুস্থ আসতে দেরি হবে। তবে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ব্যাংকে না আসায় পুনরায় তাকে ফোন করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এক পর্যায়ে প্রকৃত অবস্থান জানার জন্য তাহার স্ত্রী আঁখি সাহার মোবাইলে ফোন দেয়া হয়। এ সময় তিনি জানান আমার স্বামী বেলা ১২টায় অফিসের উদ্দেশ্যে ঢাকার বাসা থেকে বের হয়েছেন।
এদিকে বিকেল হলেও দীপংকর ঘোষ ব্যাংকে উপস্থিত না হওয়ায় ব্যাংকের ভোল্ট খোলা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে তার কার্যকলাপে সন্দেহ হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া।
জানা যায় দীপংকর ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং ভল্টের থাকা নগদ টাকা পরিমাণ যথাযথ আছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মোতাবেক ৩০ আগস্ট মতলব উত্তর থানার একটি সাধারন ডায়েরি করেন ম্যানাজার ৷
১ সেপ্টেম্বর জিডির প্রেক্ষিতে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, থানা পুলিশের উপস্থিতিতে মিস্ত্রি দ্বারা ভল্টের গ্রিল কেটে এবং চাঁদপুরস্থ প্রধান শাখায় রক্ষিত ডুব্লিকেট চাবি দিয়ে ভোল্ট খোলা হয়। পরবর্তীতে সকলের উপস্থিতিতে গণনা করে ভল্টে ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮ টাকা ৭১ পয়সা পাওয়া যায়।
ব্যাংকের ক্যাশ পজিশন অনুযায়ী এক কোটি দুই লাখ ৯৯ হাজার ৬৮ টাকা ৭১ পয়সা ছিল। অর্থ্যাৎ গণনার সময় ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা কম পাওয়া যায়।
মামলায় আরও উল্লেখ্য আছে, ব্যাংকের ক্যাশিয়ার দীপংকর ঘোষ বিগত কিছুদিন যাবত মাঝে মধ্যে কাধে ঝুলানো একটি ব্যাগ নিয়ে আসতেন এবং সেটি নিয়ে অফিস ত্যাগ করতেন। তিনি ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার হিসেবে কর্মরত থাকায় ব্যাংকের ভোল্টের একটি চাবি তার কাছে রক্ষিত থাকাতে। কৌশল অবলম্বন করে সে নিজে অথবা অজ্ঞাতনামা বিবাদীগণ ব্যাংকের ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংকের ছেংগারচর বাজার শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় মামলা করেন।
ঘটনার ১০ দিন পর ১০ সেপ্টেম্বর উক্তঘটনাটি স্থানীয়দের মাঝে জানা জানি হলে গ্রাহকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ৷
ঘটনাটি ঘটার সাথে সাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের না জানানোর বিষয়টি জানার জন্য গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর অগ্রণী ব্যাংক ছেংগারচর বাজার শাখায় গিয়ে শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়াকে পাওয়া যায়নি তার ফোন নাম্বারে একাধিকবার কল করার পরেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি ৷
তবে অগ্রণী ব্যাংক ছেংগারচর বাজার শাখার সদ্য যোগদানকৃত শাখা ব্যবস্থাপক সুমন চন্দ্র সুর জানান, আমি আজ ১২ সেপ্টেম্বর এই শাখায় যোগদান করেছি আগে যিনি ছিলেন,ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া তিনি গতকাল ১১ সেপ্টেম্বর এই শাখা থেকে চলে গেছেন কোথায় গেছে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে কিনা এব্যাপারে আমি কিছু জানিনা ৷
মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, অগ্রণী ব্যাংক ছেংগারচর বাজার শাখার ক্যাশ ভোল্ট থেকে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে ক্যাশিয়ার দীপংকর ঘোষ ও অজ্ঞাত নামা আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
