মাদারীপুরে ভূয়া সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাংশ। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মাদারীপুর শহরের শকুনী লেকেরপাড় শহীদ কানন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। পরে মিছিলটি সরকারী কলেজে গিয়ে শেষ হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে কাওয়ালী গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ। অনুষ্ঠানে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাংশ আজ মাদারীপুরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভ মিছিলে ভুয়া, ভুয়া বলে এবং ভুয়া সমন্বয়ক মানি না, মানবো না।
প্রতিবাদ সভায় সাধারণ শিক্ষার্থী আকাশ মাতুব্বর বলেন, আমরা যে যার অবস্থান থেকে আন্দোলন করেছি। আমাদের কোন সমন্বয়ক নেই। কেন্দ্র ব্যতীত সারাদেশে কোন সমন্বয়ক নেই। একটি পক্ষ সমন্বয়ক দাবী করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যা আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেউই জানি না। আমরা কোন ভূয়া সমন্বয়ক চাই না। কেউ যেন সমন্বয়ক দাবী করে অনৈতিক সুবিধা নিতে না পারে তার বিরুদ্ধে আজকের এই প্রতিবাদ সভা।
সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী তুষার সব্যসাচী বলেন, গুটি কয়েক ৫/৬জনের জন্য ছাত্র সমাজের বদনাম হতে পারে না। তারা ৫/৬ জন গতকাল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমাদের ছাত্রলীগ দাবী করছে। এখানে কোন ছাত্রলীগ আছে? এরা আসলে টিকটকের মত করতেছে নাটক। এদের প্রতিহত করার দাবী জানাচ্ছি।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ দাবী করছেন, আমরা কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের সাথে আলোচন করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি এবং আমাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ হয়। আমাদের তালিকাও কেন্দ্রে আছে। আমরা প্রশাসনের সাথে একাধিক সভাও করেছি।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মোঃ মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, আপনাদের যে তারুণ্যের শক্তি এটা যেন ভেদাভেদ বা হানিহানির কাজে না লাগে। একসাথে চলতে গেলে মতবিরোধ থাকবেই। অতএব মতবিরোধের কারণে যেন আপনাদের তারুণ্যের শক্তির সুনাম নষ্ট না হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী দিহান সরদার, জীবন বেপারী, সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের জুবায়ের আহমেদ নাফি, ইউ. আই স্কুলের প্রাক্তন অতিথি শিক্ষক (আইসিটি) আলম খান সহ অনেকেই।