জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে বৈষম্য দূরীকরণে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, শিক্ষা প্রশাসনে সরকারি শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে মানব বন্ধন করে, শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সামনে প্রধান সড়কে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নামেন তারা। মানববন্ধনে উপজেলার দুই শতাধিক শিক্ষকরা অংশ নেন। মানব বন্ধন চলাকালীন সীমিত পরিসরে ক্লাস কার্যক্রম চালু রেখেছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
মানব বন্ধনে শিক্ষকরা জানান, মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠানের ৯৭ শতাংশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলি জাতীয়করণ করা অত্যন্ত জরুরী। একই শিক্ষাগত যোগ্যতা, একই বই পড়ানো, একই বোর্ডের আওতায় পরীক্ষা অথচ সরকারি ও বেসরকারি নাম দিয়ে আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার মধ্যে বিরাট বৈষম্য তৈরি করে রাখা হয়েছে যা শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে প্রধান অন্তরায়। শিক্ষার সকল অংশীজনের প্রাণের দাবি মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ। মাধ্যমিক শিক্ষায় দীর্ঘ দিন থেকে চরম বৈষম্য বিরাজ করছে। শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে আর সকল বৈষম্য নিরসন করতে জাতীয়করণই একমাত্র সমাধান। তাই দ্রুত সময়ে তাদের সকল দাবী দাওয়া মেনে নেওয়ার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে দাবী করেন তাঁরা।
এসময় বক্তব্য দেন, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, সোনামুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান, আক্কেলপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোমিন, সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষক মেহেদী হাসান, গোপীনাথপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম অপু।
উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও কাশিড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার বলেন, আমরা একই পদে চাকুরী করে সরকারি- বেসরকারি নাম দিয়ে আর্থিকভাবে চরম বৈষম্য করা হয়েছে। আমাদের এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া বাবদ দেওয়া হয়। অথচ দেশের কোথাও এই টাকায় বাড়ি ভাড়া পাওয়া যায় না। মূল বেতনের ২৫ শতাংশ বোনাস দেওয়া হয়। যা দিয়ে আমরা কিছুই করতে পারিনা। সুতরাং সকল বৈষম্য দূর করতে জাতীয়করণ করতে হবে। তাই আমরা দাবি আদায়ে বিদ্যালয় ছেড়ে সড়কে মানব বন্ধন করছি এবং সীমিত সংখ্যক শিক্ষকদের নিয়ে ক্লাস চালু রেখেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুরুল আলম বলেন, মাধ্যমিক স্তরে বৈষম্য দূরীকরণে বেসরকারি শিক্ষকরা মানব বন্ধন করে স্মারকলিপি দিয়েছেন। স্মারকলিপিটি আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করবো।