ছবিঃ সংগৃহীত
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া বন বিট মিঠাপুকুর রেঞ্জের সামাজিক বন বিভাগ বিলিনের পথে। বন বিভাগে প্রায় ১ হাজার ১০০ একরের আয়তনে বন বিভাগের জমি রয়েছে। বন বিভাগ এখন বনদস্যুদের দৌরাত্ম্যে উজারের মুখে। তারা যখন তখন কেটে নিয়ে যাচ্ছে বনের গাছ। এই সামাজিক বন বিভাগের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন মাত্র তিনজন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এই সামাজিক বন বিভাগে জনবল সংকটের কারণে রাতের অন্ধকারে বড় বড় গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে কাঠ চোরা কারবারিরা তাদের থামাতে পারছে না সামাজিক বন বিভাগ কর্মকর্তারা।
স্থানীয় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, বন বিভাগ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগ সাজসে স্থানীয় কিছু লোকজন আকাশমনির বাগানের ভেতর আম গাছগুলো লাগিয়েছে। আমরা বন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম তারা বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। এভাবে আরো বেশ কিছু জায়গায় আম গাছ লাগিয়ে দখল করে নিয়েছেন কিছু লোকজন।
এছাড়াও দুই ইউনিয়নের সামাজিক বন বিভাগের আকাশমনির বাগান গুলোর ভেতরে অসংখ্য গাছের গোড়া। কবে কখন কে বা কারা এসব গাছ কেটেছে তা জানে না সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তারা। এদের কাউকে আইনের আওতায় আনতেও পারছে না সরকারি সংস্থাটি।
ওসমানপুর মোল্লাপাড়া এলাকার বন বিভাগের জায়গায় রোপন করা আকাশ মনির গাছগুলো কেটে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করে জমি দখল করে আবাদি জমি বানিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। কিছুদিন আগে এই জমিটিতে বাধা দিতে এসে রংপুর রেঞ্জের দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তাও আহত হয়েছেন তাদের হাতে। আবারো সেই জমিতে আকাশমনির চারাগুলো গোড়া থেকে কেটে চাষ করে দখল নিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। চারা গাছগুলো কাটতে বাধাও দিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। তারা এখন স্থানীয় লোকের কাছে হুমকি প্রদর্শনে রয়েছে। এ নিয়ে বদরগঞ্জ থানা একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বনবিভাগ কর্মকর্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মাসে সামাজিক বন বিভাগের প্রায় ১৬ টি গাছের ৪৩ পিচ পিচ বদরগঞ্জের সড়কে এলাকাবাসী আটকে দিয়েছিল। ঘটনাস্থলে লোহানী পাড়া সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তা মোরশেদ আলম দেখে চোরাকারবারিরা সড়কে গাছ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ওই কর্মকর্তা বন বিভাগের অফিসে গাছগুলো নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সামাজিক বন বিভাগের কর্মকর্তা মোরশেদ আলম বলেন, ওসমানপুর মোল্লাপাড়া এলাকার পাশে আকাশমনির চারা গুলো কেটে জমি দখল করে নিচ্ছিল স্থানে পৌশালীরা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে বাধা দেই। পরে রাতের আঁধারে আবারো তারা চারা গাছগুলো কেটে চাষ করে দেয়। থানায় লিখিত একটি অভিযোগ করেছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh