তিস্তার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে ধরলায় বিপদসীমার কাছাকাছি। ভারী বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩১ সেমি.উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টের ৪৪টি জলকপাট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাট। এদিকে রোববার ভোর থেকে তিস্তার পানি ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে ০২সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।পানি বৃদ্ধির ফলে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম,হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান,গড্ডীমারি,ডাউয়াবাড়ি,কালীগঞ্জ উপজেলার ভোট মারি,চরবৈরাতি,আদিতমারি উপজেলার মহিষখোচা,গোবর্ধন,সদর উপজেলার কালমাটি,হরিণচওরা,খুনিয়াগাছ,রাজপুর,গোকুন্ডা সহ অন্তত ১৫টি গ্রামে ২০হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
এসব গ্রামের প্রায় ৩হাজার হেক্টর জমির খেতের ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।বসতঘরে পানি উঠায় লোকজন দুর্ভোগে পড়েছেন।বন্যা দেখা দেওয়া গবাদি পশু পাখি নিয়ে বিপদে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষজন।দেখা দিয়েছে গো খাদ্য সংকট।আকস্মিক এ বন্যায় প্রায় ২০০পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। তিস্তা পাড়ের সাধারণ মানুষ জানান, ভয়াল তিস্তার বছরে দুইবার বন্যা হওয়ার ফলে ঘরবাড়ি সহ সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেন অনেক পরিবার।
তিস্তা পাড়ের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান জানান আকস্মিক বৃষ্টিপাতের কারনে এ বন্যায় বাড়িঘরে পানি উঠেছে।তলিয়ে গেছে খেতের ফসল ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।বন্যা স্থায়ী হলে সব ফসল পচে যাবে।আমাদের অনেক ক্ষতি হবে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার জানান সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বেড়ে বিপৎসীমার ১
সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তাপাড়ে বন্যা দেখা দিয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার জানান বন্যা এলাকায় লোকজনের খবর নেওয়া হচ্ছে।সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের জন্য।