লবণ পানি বন্ধে ও সরকারী পুকুরগুলো অবমুক্ত করে সুপেয় পানি নিশ্চিতের দাবীতে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাগেরহাটের দক্ষিণ অঞ্চলের একটি জেলা সমুদ্র তীরবর্তী হওয়ায় এই এলাকার মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মেনে নিয়ে যুদ্ধ করে জীবন অতিবাহিত করছে, প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন সমস্যার মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করতে হয় এই জনপদের মানুষের।
জলবায়ু পরিবর্তনের এই সকল প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য এবং বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি, লবনাক্ততা দূরিকরন, সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে জেন্ডার সংবেদনশীল সরকারী সেবা নিশ্চিত করতে এই অঞ্চলের যুব সদস্যরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রামপাল উপজেলা কনফারেন্স রুমের হলরুমে এ্যাক্টিভিস্টা বাগেরহাট ও রামপালের উদ্যোগে এবং বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থা ও একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় একশন ফর ট্রান্সফরমেশন প্রকল্পের আওতায় এ এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাব রামপালের সভাপতি এম, এ সবুর রানা'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইমরান হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাটের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হোসনেয়ারা জামিল সুমনা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সেলিম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শাহিনুর রহমান, প্রেসক্লাব রামপালের সাধারণ সম্পাদক সুজন মজুমদার, রামপাল সদর ইউনিয়নের সচিব গৌতম বসু, পেরিখালী ইউনিয়নের সচিব রাজিব মজুমদার, সাংবাদিক আবু তালেব প্রমুখ। সভায় সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বাঁধনের বিভিন্ন ইয়ুথ গ্রুপের অর্ধশতাধিক প্রতিনিধি এতে অংশগ্রহন করে।
সভায় বক্তারা বলেন, চিংড়ি চাষের অযুহাতে প্রতিবছর হাজার হাজার হেক্টর কৃষি জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকে, কিছু সুবিধাবাদী প্রভাবশালীদের দৌরাত্বে প্রতি বছর স্লুইজগুলো খুলে দিলে লবণ পানি প্রবেশ করিয়ে হাজার হাজার হেক্টর কৃষি নষ্ট করে । বক্তরা আরও বলেন, যদি বছরের ৪ মাস অর্থাৎ মার্চ-জুন পর্যন্ত লবণ পানি প্রবেশ বন্ধ করা যায় তাহলে আমাদের এই অঞ্চলে কৃষির সাথে মাছও চাষ করা
সম্ভব হবে।