চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় এক যুবককে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে ৷ গুলি বৃদ্ধ আহত যুবক আরিফ উল্লাহ সরকার (টলি চালক) চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাদিন রয়েছেন ৷ সে উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়নের দক্ষিন বোরচর গ্রামের ইদ্রিস সরকারের ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, ১ অক্টোবর রাতে উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বোরচর এলাকায় ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার খবর পেয়ে দক্ষিণ বোরচরের ইদ্রিস সরকারের ছেলে আরিফ উল্লাহ সরকারসহ ১০/ ১২ জন লোক ড্রেজারের কাছে গিয়ে বালু কাটতে বাদা প্রদান করেন। এ সময় ড্রেজারে থাকা বালু সিন্ডিকেটের লোকজন এলোপাতারি ভাবে গুলি করলে আরিফ উল্লাহ সরকার গুলি বৃদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা আরিফ উল্লাহ সরকার কে ২ অক্টোবর ভোর রাতে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।
আরিফ উল্লাহ সরকারের পরিবার সুত্রে জানা যায়, ২ অক্টোবর রাত ৩ টার সময় নদীতে মাছধরা জেলেদের মাধ়্যমে খবর পেয়ে ড্রেজারের কাছে গিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাদা দিলে ড্রেজারের লোকজন এলোপাতারিভাবে গুলি ছুরলে প্রায় ৪০/ ৫০ রাউন গুলি আরিফ উল্লাহ সরকারের পেটে ও শরীলের বিভিন্ন জায়গায় লাগলে আরিফ উল্লাহ সরকার গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়৷ পরে আমরা খবর পেয়ে বুধবার ভোর রাতে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করাই৷
বালু সিন্ডিকেট চক্রের যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে প্রশাসনের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আরিফ উল্লাহ সরকারর পরিবারবর্গ ৷
এখলাছপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো: শাহজামাল জানান, আমি খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে আরিফ উল্লার কাছে বিস্তারিত জেনেছি ৷ যারাই এই কাজ করেছেন কাজটি ভালো করেননি ৷ যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আমি প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি ৷
এখলাছপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মফিজুল ইসলাম মুন্না ঢালী জানান, কয়েকদিন আগেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় একটি ড্রেজার এবং একটি বাল্কহেড আটক করে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছি আমরা ৷ মেঘনা নদীতে আমরা কাউকে অবৈধভাবে বালু কাটতে দিবো না ৷ আমি এবং আমার এলাকার লোকজন সব সময় আমাদের গ্রাম ও চরাঞ্চলকে বাচাঁতে নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাদা দিয়ে আসছি ৷
বুধবার রাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাদা দেওয়াকে কেন্দ্রকরে যারা আরিফ উল্লাহ সরকার কে গুলি করেছে তাদেরকে আমি নিন্দা জানাই এবং তাদের কে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
বুধবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনটে মোহনপুর নৌ-পুলিশের ওসি কামরুজ্জামানের মোবাইল ফোনে উক্তবিষয়ে জানার জন্য কলদিলে তিনি জানান, এব্যাপারে আমাদের কাছে এখনোও কেউ অভিযোগ করেননি অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যাবস্থা নিবো।