ছবিঃ মোঃ সোহাগ আরেফিন।
শরতের টানা ভারী বর্ষণের ফলে গুরুদাসপুর উপজেলার বামনকোলা-গাড়ীষাপাড়ার ফসলি মাঠে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। পানি নিষ্কাসনের জন্য মাঠের দুই পার্শ্বেই ছিলো কালভার্ট। কালভার্টের জায়গা নিজস্ব মালিকানা হওয়ায় গড়ে তুলেছে কালভার্টের বিপরীতে বসতি বাড়ি। বসতি বাড়ি গড়ে ওঠায় অকেজো হয়ে গেছে কালভার্ট দুটো। ফলে পানিতে টইটম্বুর খাচ্ছে ফসলি জমি, পানির নিচে তলিয়ে গেছে মাঠের ফসল।
জানা যায়- একসময় বামনকোলা-গাড়িষাপাড়ার মাঠের পানি নিস্কাসনের বামনকোলা পশ্চিম পাড়া ও নতুন পশ্চিমপাড়ার দুটি কালভার্ট ছিলো। সম্প্রতি কালভার্টের বিপরীতে নতুন বসত-বাড়ি তৈরী হওয়াতে কালভার্ট দুটি বন্ধ হয়ে যা। যার ফলে পূর্ব পাশের মাঠের পানি বের না হয়ে দেখা দিয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। এতে পূর্ব মাঠের প্রায় ৬০ বিঘা জমির ধানক্ষেত তলিয়ে যেতে বসেছে। তবে ফসল রক্ষা ও বসত-ভিটার ক্ষতি না করে পানি নিস্কাসনের দাবী জানান কৃষকরা। এসব দাবী জানিয়ে বামনকোলার গ্রামীন পাকা সড়কে দাঁড়িয়ে পশ্চিম পাড়ার প্রায় দুই শতাধীক কৃষক মানববন্ধন করেছে।
বামনকোলা পশ্চিম পাড়া গ্রামের কামাল, জালাল উদ্দিন, রফিক ফকির, মছের, সেলিম উদ্দিনসহ অন্তত ১০জন কৃষক জানান, পুরাতন বামোনকোলা গ্রামের ওই মাঠে একসময় তিনটি ফসল ফলতো। জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তার পূর্ব-পশ্চিম দুই মাঠের কৃষকরা ১৫ বছর ধরে জলাবদ্ধতয় ভুগছেন। টানা ক’দিন বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় মাঠের ফসল। এতে ক্ষতির সম্মুখিন হন তারা। সরেজমিনে তদন্তপুর্বক বসত ভিটার ক্ষতি না করে পানি নিস্কাসনের দাবী জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের কাছে।
এলাকাবাসী আরোও জানান, পুরাতন বামনকোলার নতুন পশ্চিম পাড়া বটতলায় যে কালভার্ট আছে ওই দিক দিয়ে পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা করলে তাদের পশ্চিম পাড়ার মাঠের ধান নষ্ট হবে না। নয়তো তাদের পূর্ব দিকের মাঠের পানি পশ্চিম দিকের মাঠে দিলে প্রায় ২ হাজার বিঘা ধানের ক্ষেত নষ্ট হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh