× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

বদরগঞ্জ

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই এক্স-রে মেশিন ফিল্ম; রোগীদের ভোগান্তি

মোস্তাফিজুর রহমান, বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি।

১০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪২ এএম । আপডেটঃ ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৬ পিএম

ছবিঃ মোস্তাফিজুর রহমান।

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র এক্স-রে মেশিন ফিল্মের অভাবে ৩৬ দিন ধরে এক্স-রে সেবা বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালে এক্স-রে সেবা না পেয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন রোগীরা। কবে ফিল্ম কেনা হবে তাও নির্দিষ্ট করে বলা হচ্ছে না।

গতকাল বুধবার (০৯ অক্টোবর)  বুকের সমস্যা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান আমরুলবাড়ি গ্রামের কৃষক মনোয়ার হোসেন (৩০)। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে এক্স-রে করার পরামর্শ দেন। এরপর হাসপাতালের এক্স-রে কার্যালয়ে গেলে তাঁকে বলা হয় -ফিল্ম নেই, এক্স-রে বন্ধ। বাধ্য হয়ে তিনি বাইরে থেকে এক্স-রে করিয়ে চিকিৎসককে দেখান। মনোয়ার হোসেন বলেন, হাসপাতালে ১৫০ টাকায় বুকের এক্স-রে করা যায়। বাইরে নিয়েছে ৬০০ টাকা। হামরা গরিব মানুষ, ৪৫০ টাকা বাড়তি লাগল। এই টাকা হইলে সংসারে অন্য খরচ করা যেত।

কুতুবপুর ইউনিয়নের আমজাদ হোসেন বলেন, হাটুর খুব ব্যথা। ডাক্তার কইছে বদরগঞ্জের হাসপাতালে আসি হাটুর এক্স-রে কইরবার। হাসপাতালোত আসি শোনোছি এক্স-রে বন্ধ। এখন রংপুরোত কইরবার গেইলে যাওয়া- আইসা মিলিয়া দেড় হাজার টাকা নাগবে। মেশিনটা খোলা থাকলে হাসপাতালে ১৫০ টাকাতে এক্স-রে হইলো হয়। হামরা গরিব মানুষ এ্যালা দেড় হাজার টাকা কোনটে পাই।

রংপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের নভেম্বরে রংপুরের সাত উপজেলা সরকারি হাসপাতালে অত্যাধুনিক ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে তারাগঞ্জ, মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ, পীরগাছা, কাউনিয়া ও গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন নষ্ট হয়ে পড়েছে। বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি সচল আছে। কিন্তু ফিল্ম সংকটের কারণে এটির কার্যক্রমও বন্ধ।

বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেকনোলজিস্ট রেজাউল ইসলাম বলেন, 'হাসপাতালের অত্যাধুনিক ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি আমি শুরু থেকে চালিয়ে আসছি। সপ্তাহে তিন দিন এখানে। ১৫০-২০০ টাকায় এক্স-রে করাতাম। এতে প্রতিমাসে সরকার রাজস্ব পেত ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা; কিন্তু গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ফিল্ম না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি বন্ধ আছে। দীর্ঘদিন এক্স-রে মেশিন বন্ধ থাকলে তা অকেজো হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক্স-রে ফিল্মের প্রতিটি প্যাকেটের মূল্য ১৫ হাজার টাকা। এক প্যাকেট ফিল্ম দিয়ে ১৩৫টি এক্স-রে করা যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুজয় সাহা বলেন, টেন্ডারের মাধ্যমে হাসপাতালে এক্স-রে মেশিনের ফিল্ম কেনা হয়। নতুন করে টেন্ডার না হওয়া পর্যন্ত ফিল্ম কেনা সম্ভব হচ্ছে না।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.