ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বাকতা ইউনিয়নে কালনাজানি গ্রামের কৃষক হাসান আলী ও আকতার আলীর ৮ কাঠা জমিতে লাগানো তিন শতাধিক কলাগাছ সহ শিম হলুদ ক্ষেত কেটে বিনষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর ১২ টার দিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জয়নাল আবেদীন চার গ্রাম পুলিশসহ ২০/২৫ জন লোক নিয়ে এসে ক্ষেতের ফসল বিনষ্ট করেছে বলে অভিযোাগ করেছে কৃষক হাসান আলী। স্থানীয় ইউমিয়ন পরিষদের মেম্বার ফসল বিনষ্টের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
কৃষক হাসান আলী জানান, পৈত্রিক সূত্রে তারা ৮ কাঠা জমিতে ফসল আবাদ করে আসছেন। ২০২৩ সালে ময়মনসিংহ আদালতে বিআরএস সংশোধনের জন্য মৃত আঃ মান্নানের স্ত্রী মাহমুদা আকতার ও তার দুই মেয়েকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর জমি জবর দখলের চেষ্টা করছে মাহমুদার পরিবার। আদালতে মামলা থাকার পরও স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য তাদের নোটিশ করেন। মিমাংসা আলোচনায় রাজি না হওয়ায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে মেম্বার জয়নাল আবেদীন ৪ গ্রাম পুলিশসহ ২০/২৫ জন লোক পাঠিয়ে তাদের ফসলী জমি বিনষ্ট করে। এতে ঐ কৃষকের ৪ লাখ টাকার ক্ষতিনি হয়েছে বলে দাবী করা হয়।
প্রতিপক্ষের উজ্জল জানান, এটা তাদের জমি। শুধু দখল নিয়েছেন। আদালতে মামলা থাকার পর জোর করে জমি দখলে নিলে আদালত অবমাননা হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেন নাই।
স্থানীয় বাকতাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মাখনের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।
তবে ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড মেম্বার জয়নাল আবেদীন বলেন, তাদের কাছে মাহমুদা খাতুন জমি তার দানী করে ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে নোটিশ জারি করা হয়। আদালতে মামলা থাকার পরও একই বিষয় নিয়ে মিমাংসার করার জন্য নোটিশ জারি করলে তা আদালত অবমাননা হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেন নাই।
কৃষক হাসান আলী জানান, আমরা গরীব বলে ফসলহানি হলেও বিচার পাই না। আমরা নিরক্ষর দরিদ্র কৃষক আদালত অবমাননা আমরা তো বুঝি না। যদি হয়ে থাকে তবে আদালত তার বিচার করবে। আমি আমার কষ্টটার্জিত ফসল নষ্টের বিচার চাই।