রংপুরের বদরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলা, সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে ওই ১০ জনকে জেল হাজতে পাঠানো নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বদরগঞ্জ আমলী আদালত এ নির্দেশ দেন। আসামিরা হলেন- আব্দুল হান্নান (২৫), রিয়াদ (৫৮), আব্দুর রাজ্জাক (৫৯), মহবুর (৬০), মোস্ত (৬১), শাহ নেয়াওজ (৬২) আব্দুর রউফ (৬৩), ভুটু (৬৪), আলমগীর (৬৫) ও শাহিন (৬৬)।
আদালতের সূত্রে জানা যায়, ৪ ও ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন আওয়ামী লীগ সরকারকে টিকে রাখার জন্য সাবেক এমপি আহসানুল হক ডিউক চৌধুরী ও পৌর মেয়র টুটুল চৌধুরীর নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। হামলায় ১৫০ থেকে ২০০ জন ছাত্র-জনতা আহত হয়। হামলা পরবর্তি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দোকানপাট ভাঙচুর, মালামাল লুটপাট, ৩৫টি মোটরসাইকেল, সরকারি একটি পাজেরো গাড়িতে পেট্রোল বোমা দিয়ে আগুন দেয়। এভাবে দুই দিনে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অগ্নি-সন্ত্রাস, লুটপাট ও ভাঙচুর করে দেড় কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি করে।
এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী নাগরিক ঐক্য কমিটির সদস্য দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার বদরগঞ্জ প্রতিনিধি ও এশিয়ান টিভির রংপুর ব্যুরো প্রধান বাদশাহ ওসমানী বাদী হয়ে তিনি ১৬ সেপ্টেম্বর রংপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বদরগঞ্জ আমলী আদালতে ১৬৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার জামিন নিতে আসলে বিচারক হাসিনুর রহমান মিলন শুনানি শেষে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।