রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার সাথে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে সাবেক কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা নিহতের ঘটনায় দুই মাস পর হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী কনিকা রাণী বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় মামলাটি করেছেন। মামলার বিবরণে অজ্ঞাতনামা ৪-৫শ জনের কথা উল্লেখ করা হলেও কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে নিহতের ঘটনায় থানায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলা প্রত্যাহারে পুলিশকে ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে মহানগর কোতোয়ালি থানার সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটাম দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুরের সমন্বয়করা।
এ সময়ের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার করা না হলে মহানগর পুলিশ ও জেলা পুলিশ কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুরের সমন্বয়ক নাহিদ হাসান খন্দকার।
পরবর্তিতে গভীর রাতে মিডিয়া সেলের মাধ্যমে নাহিদ হাসান এক বার্তায় জানান, (যেহেতু আমরা আন অফিসিয়াল নোটিশ পেয়েছি এবং সকালে অফিস আওয়ারে এই অফিসিয়াল নোটিশটা পাবলিশ করবে সেহেতু আমরা আমাদের কর্মসূচিটা স্থগিত করছি।)
তিনি বক্তব্যে বলেন, ৪ আগস্ট ছাত্র জনতার ওপর সরাসরি গুলি চালান কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা। পরে ছাত্র জনতার ধাওয়ায় তিনি নিহত হন। পুলিশ ছাত্র জনতার ওপর হামলাকারী সেসব অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার না করে তাদের দায়ের করা মামলা গ্রহণ করছে।
এর আগে ২ অক্টোবর নিহত হারাধন রায় হারার স্ত্রী কণিকা রায় বাদী হয়ে মহানগর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সায়ফুজ্জামান ফারুকী বলেন, এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও পশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারাধন রায় হারা ছাত্র জনতার ওপরে প্রকাশ্যে গুলি চালান। ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার এক পর্যায়ে তিনি গণপিটুনিতে নিহত হন।