আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১২টায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে মানবন্ধন করেছে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডসহ দেশের সকল শিক্ষা বোর্ডে কর্মরতদের নিরপত্তা ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের দাবিতে এই মানববন্ধন করেন কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি। অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষর্থীরা পাশের দাবি নিয়ে গত ২০ অক্টোবর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
কয়েকশ কর্মকর্তা-কর্মচারি উক্ত মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার নিকট সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আবেদন জানান। উক্ত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কতিপয় ছাত্র/ছাত্রী ও ভাড়া করা ব্যক্তিবর্গ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডে এখতিয়ার বহির্ভূত দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে। এবং শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ফটকে ও বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে তাঁদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখার মতো ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে। আন্দোলনকারিরা বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে শিক্ষা বোর্ডে কর্মরতদের গালমন্দ করা ছাড়াও শারীরিবভাবে লাঞ্চিত করে ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এইধরণের অপকর্মের তীব্র নিন্দা জানান রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে কর্মরতরা।
জানতে চাইলে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক মোঃ হুমায়ূন কবীর ও ভান্ডার শাখার উপ-সচিব মোঃ দুরুল হোদা বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এমন ধরণের আচরণ আমাদের কাম্য নয়। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডে কর্মরতরা যেনো ঝুঁকি ও ভীতিহীনভাবে নিজ নিজ দপ্তরের কাজ করতে পারে সেলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই মানবন্ধনের মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ অক্টোবর চলতি বছরের (২০২৪) এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে ঐসময় স্থগিত হওয়া এইচএসসির কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল। এরপর বিষয় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে এই পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়। তবে অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীরা এই ফলাফল মানতে চাননি। তাই প্রকাশিত ফল বাতিলের দাবিতে গত ২০ ও ২১ অক্টোবর ঢাকাসহ দেশের মোট আট শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা। এর মধ্যে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।