ঘূর্ণিঝড় 'দানা' মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ভোলার জেলা প্রশাসন। এরইমধ্যে জেলার ৮৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১৭টি মাটির কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ভোলার জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান জানিয়েছেন, ঝড় মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যার অংশ হিসেবে ৯৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়াও খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সিপিপি ও রেডক্রিসেন্টসহ অন্তত ১৫ হাজার সেচ্ছাসেবীকে।
এ ছাড়াও নগদ ৯ লাখ টাকা, ৩৫০ পাকেট শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য, গবাদি পশুর খাদ্য এবং ৫০০ টন চাল মজুত রাখা হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসাঈন বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। একাধিক টিম প্রস্তুত রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা হবে। তিনি বলেন, জেলার ৮৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র, ১৭টি মাটির কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জেলা জুড়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন উপকূলের বাসিন্দারা। তবে জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলছে, বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে ২৫ অক্টোবর দুপুরের মধ্যে ভারতের উড়িষ্যায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। এটি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বর্তমানে ভোলা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর স্থানীয় শতর্ক সংকেত দিয়েছে। ফলে উপকূলীয় এলাকার নদী-সাগরের মাছধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।